যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা


April 2025/Dowery Khalid.jpg

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন ফোরামে ইমাম-খতিবদের কথা বলার যে সুযোগ রয়েছে সেটা কাজে লাগাতে হবে।’

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিটির ষোলশহরস্থ এলজিইডি ভবনের কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মিলনায়তনে মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরামের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে কনের স্থায়ী ঠিকানার কাজী কর্তৃক বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিবাহ নিবন্ধন ফী তিনভাগে ভাগ করার বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সভায় ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘যৌতুক দেওয়া-নেওয়া অপরাধ। যৌতুক সমাজের অভিশাপ। এরূপ শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুনে  কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না। যৌতুক নিরুৎসাহিত করতে ইমাম-খতিবদেরকে কথা বলতে হবে। খতিব, ইমাম কিংবা কাজীদের নানা ফোরামে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগকে যৌতুক বন্ধে কাজে লাগাতে হবে।’

তিনি বাল্যবিবাহ রোধে নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরামের দাবীসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বিবাহ নিবন্ধনের সময় কাজী ও সহকারীরা অনেক সময় সরকারি বিধান না মেনে অতিরিক্ত ফি আদায় করে। এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে এবং ফি আদায়ের রশিদ দিতে হবে। তিনি নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সরকারি বিধি মোতাবেক ফি আদায়ের অনুরোধ করেন।’

এছাড়া, উপদেষ্টা বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরামকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার অনুরোধ জানান তিনি। 

চট্টগ্রাম যুগ যুগ ধরে অবহেলিত উল্লেখ করে ড. খালিদ বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর এই সড়কে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সড়কে খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। এটা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন হচ্ছে। তিনি এই সড়কের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।’

এছাড়া, অল্প দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ছয় লেনে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফোরামের সভাপতি কাজী ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী। 

সভায় ফোরামের নেতৃবৃন্দ বাল্যবিবাহ বন্ধে কনের স্থায়ী ঠিকানায় কাজী অফিসে বিবাহ নিবন্ধন, বিবাহ নিবন্ধন ফি তিনভাগে ভাগ করার সুপারিশ বাতিল এবং বিবাহ নিবন্ধনে বরের বয়স ২০ ও কনের বয়স ১৬ করাসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের নিকাহ রেজিস্ট্রাররা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×