লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন দক্ষিণের মানুষ


April 2025/Launch passengers.jpg

ঈদের ছুটি শেষে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঢাকা ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা যাত্রীতে কানায় কানায় ভর্তি হয়ে গেছে লঞ্চগুলো।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি লঞ্চে ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দুদিন পর অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুললেও অনেকে ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছেন। শুক্রবার ছুটি কাটিয়ে শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে অফিস করবেন কেউ কেউ।

রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বরিশাল নদী বন্দর থেকে সরাসরি ১১টি ও ভায়া দুটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বলে জানান বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা।

নদী বন্দর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ যাত্রী উঠেছে। ঈদের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে তাদের কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। তবে যাত্রীর এ চাপ আরও কয়েক দিন থাকবে বলে জানান লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা।

সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী মামুন বলেন, ‘সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কেবিনের দরজা পর্যন্ত খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পুরো লঞ্চের মধ্যে পা ফেলার মতো জায়গা নেই। এমনকি লঞ্চের নামাজের স্থানটুকু পর্যন্ত যাত্রীতে পরিপূর্ণ।’

শুভরাজ লঞ্চের যাত্রী মনির হাওলাদার বলেন, ‘পরিবার ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। তবুও শনিবার থেকে অফিস শুরু হবে। সেজন্য আজকে রওয়ানা দিলাম।’

অপর একযাত্রী শারমিন বলেন, ‘আসার সময় সারারাত লঞ্চে একইভাবে কষ্ট করে আসছি। এখন আবার কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। বিকেল ৫টা থেকে নদী বন্দরে পুলিশ ও কিছু লোকজনকে হাতে মাইক নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠা ও নির্ধারিত যাত্রী নিয়ে সময়মত লঞ্চ ছাড়ার জন্য মাইকিং করতে দেখছি।’

যাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চগুলো ছাড়ার কথা থাকলেও রাত ৯ টার আগে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। এ অবস্থায় সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

এদিকে নদী বন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরাও রয়েছে। এছাড়া লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে সেটি তদারকির জন্য জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে।

বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ না ছাড়ে। এছাড়াও আমাদের সার্বিক সহায়তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×