যুগ যুগ ধরে সিলেটিদের ইফতারে জনপ্রিয় পাতলা খিচুড়ি


যুগ যুগ ধরে সিলেটিদের ইফতারে জনপ্রিয় পাতলা খিচুড়ি

ইফতারিতে সিলেটিদের প্রথম পছন্দের তালিকায় সবার প্রথম পাতলা খিচুড়ি থাকবেই। যুগ যুগ থেকেই জনপ্রিয় এই খাবারের সাথে পরিচিত সিলেটবাসী। দেশে কিংবা প্রবাসে যেখানেই সিলেটি থাকুক না কেন ইফতার যেন পাতলা খিচুড়ি ছাড়া জমবে না। সুগন্ধি চিকন চালের সঙ্গে গাওয়া ঘি, কালিজিরা ও মেথিসহ নানাজাতের মসলা দিয়ে রান্না হয় খিচুড়ি। স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য অনেকেই এতে শাকসবজি কুচি করে মিশিয়ে থাকেন। অনেকেই আবার খিচুড়ির সঙ্গে গরু বা মুরগির মাংস, ছোলা প্রভৃতিও মিশিয়ে থাকেন। তবে সাধারণ চাল দিয়েও খিচুড়ি রান্না করা হয়।

সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের একটি অভিজাত ইফতারির দোকানে ইফতারি কিনতে আসা রইছুল সুমন আহমেদ বলেন, ‘ইফতারিতে আখনি বা খিচুড়ি যে কোনো একটা না থাকলে চলে না। আড়াইশ টাকা কেজি হিসেবে খাসির আখনি কিনেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনো দিন বাসায় আখনি বা খিচুড়ি রান্না করা হয়। অনেক সময় বাইরের বিভিন্ন ইফতারির দোকান থেকেও এগুলো কিনে নিয়ে যাই।’

নগরীর আম্বরখানা এলাকার গৃহিণী মিনারা বেগম বলেন, ‘বাসায় প্রায় প্রতিদিনই খিচুড়ি রান্না করি। বয়স্করা খিচুড়ি খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।’ এদিকে সিলেটে আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে অতিথিদের ইফতার করানোর রেওয়াজ বহু পুরনো। এসব অতিথির জন্যও ইফতারিতে খিচুড়ি কিংবা আখনি রান্না করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আখনি, খিচুড়ি দুটোই থাকে। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে ইফতার পাঠানোর ক্ষেত্রেও আখনি বা খিচুড়ি থাকাটা অনেকটা বাধ্যতামূলক। 

এ বিষয়ে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের চিকিৎসক শিব্বির আহমেদ সোহেল বলেন, খিচুড়ির প্রধান উপাদান চাল ও ডালে আলাদা করে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। চালে থাকে সিস টিন, মিথিওনিন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড। আর ডালে থাকে লাইসিন। শুধু ভাত খেলে দেহে লাইসিনের ঘাটতি হয়। আবার শুধু ডাল খেলেও সিস টিন ও মিথিওনিনের ঘাটতি রয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ হয়। দেহের পেশি গঠন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো, কোষ পুনর্গঠনে খিচুড়ি বেশ উপকারী

 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×