কালুরঘাট রেলসেতুর দরপত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি


কালুরঘাট রেলসেতুর দরপত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

আগামী ৭ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-দোহাজারী শাখা লাইনের কর্ণফুলী নদীর উপরিস্থিত কালুরঘাট রেলসেতুর খুনি ফ্যাসিবাদী প্রেতাত্মাদের দেওয়া দরপত্র বাতিলপূর্বক পুনঃদরপত্র আহ্বানের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এমএ হাশেম রাজু।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র দিয়েচেন তিনি।

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাশেম রাজু বলেন, ‘গত ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-দোহাজারী শাখা লাইনের কর্ণফুলী নদীর উপরিস্থিত কালুরঘাট রেলসেতু নম্বর-মিডি/১০’-এর উপর দিয়ে বিদ্যমান সড়ক পথে যানবাহন (সুনির্দিষ্ট) পারাপারের জন্য রেলওয়ে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত হারে মাশুল/টোল আদায়ের স্বত্ব এক বছরের জন্য হারা প্রদানের নিমিত্ত দরপত্র আহবানের প্রেক্ষিতে মাত্র ৯টি দরপত্র জমা হয়। তার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ‘মাওয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দর পাওয়া যায়, যা বর্তমানে বিপুল যানবাহন চলাচলকারী পত্র জমা পড়ে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পলাতক অবস্থায় দূর থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম দরপত্র দাখিল করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনশ্রুতি আছে, সিআরবির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লোকজনের যোগসাজশে চট্টগ্রামে রেলওয়ের সক কাজ পরিচালিত হত। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা গত ১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং ১৮ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে বিষয়োল্লিখিত দরপত্র বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের জন্য দরখাস্ত দিই। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শক্তির সাথে আঁতাত করে তারা এখনো সব কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এই দুর্নীতিবাজ চক্রের কারণে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে এবং সরকার ন্যায্য রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া, গেল ১৮ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে ফ্যাসিবাদের দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গুলি চালানো আওয়ামী লীগের নেতা সন্ত্রাসী শাহ আলম ও তার এসএ কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও সে বিষয়েও রেল মন্ত্রণালয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি।’

এমএ হাশেম রাজু বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী খুনি সন্ত্রাসী লুটপাটের সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া না হলে তাদেরকে মোকাবেলায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×