চট্টগ্রামের সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলা


চট্টগ্রামের সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলা
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর নামে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২৭ ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে উভয় মামলায় আসামি করা হয়েছে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অর্জিত ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮১ টাকা ২১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উৎস গোপন করার চেষ্টা করে সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। এছাড়া, নিজ নামে ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

অন্যদিকে, মোস্তাফিজুরের স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার স্বামীর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপপ্রয়াসে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। যার অংশ হিসাবে আয়কর নথিতে প্রদর্শিত করে তার স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯ টাকা ৬টি ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করে অর্থের উৎস গোপন করার চেষ্টায় অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছে।

বৈধ উৎস না থাকা সত্ত্বেও তার স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ নিজ নামে ২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ১০ টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। যে কারণে শাহীন আক্তার চৌধুরীকে প্রধান আসামি ও মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সহযোগী আসামি হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪’-এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭’-এর ৫ (২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×