হামলার মামলায় রিমান্ডে আট
চট্টগ্রামে আইনজীবী খুনে নয়জনকে গ্রেফতার দেখালেন আদালত
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:২৬ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামে আদালতে পুলিশের ওপর ইসকন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের হামলা ও ভাঙচুর মামলায় আট আসামিকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, আরেকটি আদালতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় নয়আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম ও আবু বকল সিদ্দিকের পৃথক আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ইসকন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর অনুসারী ১৭ আসামিকে আনা হয় আদালতে। নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কড়া পাহারায় বিকাল চারটায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় তাদের তোলা হয়। তাদের বিচারের দাবিতে আদালতে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা।
প্রথমে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় নয়আসামিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬’-এর বিচারক কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাদের এ মামলায় গ্রেফতারের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে বিচারক আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে তোলা হয় বাকি আট আসামিকে। এ সময় তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
তবে, দুই আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন না কোন আইনজীবী। হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো নয় আসামি হলেন রুমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মুন মেথর, রাজীব ভট্টাচার্য্য ও দুর্লভ দাস। তাদের মধ্যে শুভ কান্তি দাস একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অন্যরা পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
অন্য দিকে, পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আট আসামি হলেন পার্থ চক্রবর্তী, অপূর্ব শীল, উজ্জ্বল দাস, অপু চন্দ্র সাহা, নিলয় দাস, ধ্রুব দাস, দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুরু।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সিটির কোতোয়ালি থানায় গেল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় নয় আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এরপর পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এ দিকে, এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার পাশপাশি পেছন থেকে কেউ কলকাঠি নেড়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘জিজ্ঞাসবাদে প্রকৃত দোষীদের সম্পৃক্ততা উঠে আসবে। সেদিন কোন আসামি কোন ভূমিকায় ছিল ও ঘটনার নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা তদন্তের মাধ্যমে বের হবে। এক্ষেত্রে, পূর্ণ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে পুলিশ।’
এর আগে আসামি পক্ষের হয়ে চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নিজাম উদ্দিনের ওকালতমনামায় সই করাকে কেন্দ্র হট্টগোল তৈরি হয়। পরে সাধারণ আইনজীবীদের তোপের মুখে তা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।