নাচ ও রবীন্দ্রসংগীতে ‘মানা’ ঢাবি অধ্যাপকের


নাচ ও রবীন্দ্রসংগীতে ‘মানা’ ঢাবি অধ্যাপকের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সান্ধ্যকালীন এমবিএ প্রোগ্রামের উদ্যোগে আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হবে বিশ্ব পর্যটন দিবস, যার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীনে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তত্ত্বাবধানে বিশ্বের সব সদস্য দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

কিন্তু এবারের অনুষ্ঠানের পূর্বপ্রস্তুতিতে নাচ এবং রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, এমবিএ প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান নাচ এবং রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনের অনুমতি দেননি। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, অধ্যাপক গান এবং নাচকে ‘পাপ’ এবং রবীন্দ্রসংগীতকে ‘বিদেশি সংস্কৃতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এক শিক্ষার্থী বলেন, “অধ্যাপক কামরুল হাসান দুয়েকটি গানের অনুমতি দিলেও নাচের ক্ষেত্রে দিতে চাননি। বারবার অনুরোধের পর কিছুটা অনুমতি দেন। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলাম, কিন্তু প্রোগ্রামের কয়েকদিন আগে পুনরায় তা নিষিদ্ধ করে দেন। তিনি বলেন, এটি পাপ এবং ওপরের নির্দেশ আছে। শুধু তার পছন্দমতো কবিতা, বক্তব্য আর একটি গান রাখার অনুমতি দেন। আমরা বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি।”

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান। তিনি জানান, “এটি (সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) দায়িত্ব নিয়ে করতে পারে এমন শিক্ষক আমি খুঁজে পাইনি। কেউ দায়িত্ব নিলে আমার আপত্তি থাকবে না। এর বাইরে আমি কিছুই বলিনি।”

এছাড়া, বিভাগের বিবিএ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ অ্যাটেনডেন্সের (হাজিরা) কারণে ফেল হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচিত হওয়া ছাড়াও বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক কামরুল হাসান এই বিষয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে আমি কিছু করিনি। কারও অ্যাটেনডেন্স না থাকলে তা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। অনেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং বিভিন্নভাবে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×