শাবিপ্রবিতে আজীবন বহিষ্কৃত হলেন ১৯ জন, বিভিন্ন মেয়াদে ১৭ জন
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:০২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) জুলাই থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা এবং হলে অস্ত্র ও মাদক ব্যবহার সংক্রান্ত দুইটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজীবন বহিষ্কার করেছে ২০ শিক্ষার্থীকে। এদের মধ্যে দুইটি ঘটনায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান চৌধুরী আরিয়ানের নাম রয়েছে। মোট ১৯ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার হন। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১৭ শিক্ষার্থীকে (৪ ও ২ সেমিস্টার) বহিষ্কার করা হয়েছে। ১৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন ১২ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান, সহসভাপতি শিমুল মিয়া, ইউসুফ হোসাইন টিটু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, লোকমান হোসাইন, তারেক হাসান, ইলিয়াস সানী, সায়েদ মাজ জারদি, সিয়াম খান ও মুজাহিদুল ইসলাম সাইমুন।
অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন ৮ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে রয়েছেন: মোহাম্মদ মামুন মিয়া, অমিত সাহা, তরিকুল ইসলাম লিয়ন, আশিকুর রহমান আশিক, ফারহান চৌধুরী আরিয়ান, মো. মাহবুবুর রহমান, মারভিন ডালি রিকি ও শান্ত তারা আদনান।
এর বাইরে ১৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। ৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন: আকাশ তালুকদার, মো. মাইদুল ইসলাম মুরাদ, মো. নাফিউজ্জমান, দুর্জয় সরকার নিলয় ও মারুফ মিয়া। ২ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন রেজাউল হক (সিজার), মজিদুল হক, মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান, মো. ইসমাইল হোসেন, মনিরুজ্জামান মুন্না, শুভ্র রায় শ্যাম, সজীব চন্দ্র নাথ, তাইমুর সালেহীন তাউস, শিহাব উদ্দিন মিশু, রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম, রেদোয়ান হোসাইন ও আসিফুল ইসলাম।
সর্বশেষ, জুলাই থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তদন্ত কমিটি সুপারিশ দেয়ার জন্য ১৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া হলে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ১১ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এই কঠোর শৃঙ্খলা পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।