স্থানীয়দের হামলায় চবির ৩ শিক্ষার্থী আহত


স্থানীয়দের হামলায় চবির ৩ শিক্ষার্থী আহত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন তলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান ফটক জিরো পয়েন্টে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ছয় ঘণ্টা পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

আহতরা হলেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন, আতিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। আহতদের মধ্যে জুবায়েরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন তলায় দোকান মালিকানা নিয়ে বিরোধ থেকেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়েব ইসলাম শুভ এবং স্পোর্টস সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী তাওসিফ ইয়াসির গত ৬ জুলাই রুবায়েত ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকায় একটি দোকান কেনেন।

শুক্রবার দোকানটির নির্মাণকাজ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। পরে ১ নম্বর গেটের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ও শিবলু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অফিস সহকারী সাহাজউদ্দিন বাবুর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে।

দোকান কেনা শিক্ষার্থী তাওসিফ ইয়াসির বলেন, রুবায়েত ইসলামের কাছ থেকে দোকানটি কিনেছি। কিন্তু এটি আগে এক যুবলীগ নেতার দখলে ছিল। দোকান কেনার পর থেকেই হুমকি পাচ্ছি। প্রক্টর অফিসে একাধিকবার জানিয়েও সাড়া পাইনি। আজ কাজ শুরু করলে হামলা চালানো হয়, এতে আমার তিন বন্ধু আহত হয়েছে।

অভিযুক্ত অফিস সহকারী সাহাজউদ্দিন বাবু বলেন, তুহিন ও শাহীন জায়গাটি দখল করে নিয়েছে। আমার এক পরিচিত ব্যক্তি এটি রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়েছিল। দুই পক্ষের কথা বলার সময় হাতাহাতি হয়, তবে আমি সরাসরি জড়িত ছিলাম না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. সাঈদা খাতুন জানান, জুবায়ের হোসেন মাথা, নাক ও মুখে গুরুতর আঘাত নিয়ে সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসা নিতে আসে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আতিকুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সহকারী প্রক্টর কুরবান আলি বলেন, জিরো পয়েন্টে তো নাজমুল হোসেন ও নূরুল হামিদের যাওয়ার কথা। তারা এখনো যায়নি?

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা, তবে ঘটনার তাৎক্ষণিক তদন্ত ও বিচার দাবিতে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×