
গাজা উপত্যকার প্রতি দশজনের একজন আহত বা নিহত হয়েছেন - এমন তথ্য দিয়েছেন ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান হেরজি হালেভি, যা ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহতা নতুন করে সামনে এনেছে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি কমিউনিটি সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে হালেভি বলেন, “গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ শতাংশই আহত কিংবা নিহত হয়েছেন। সংখ্যাটি ২ লাখেরও বেশি।” ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামাসের সঙ্গে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হালেভি। চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য প্রকাশ করে জানায়, হালেভির এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হতাহতের সংখ্যার সঙ্গে হালেভির তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েল বরাবরই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যকে অবিশ্বস্ত বলে দাবি করে, একে হামাস-নিয়ন্ত্রিত বলে উপস্থাপন করে থাকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক একাধিক মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৪ হাজার ৭১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জন। এই পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন।
শুক্রবারও (১২ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় আরও ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিক আলাদা করে হিসাব দেয় না। তবে একটি ফাঁস হওয়া ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের ৮০ শতাংশই বেসামরিক মানুষ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান