
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির ঐতিহাসিক জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ জয়ের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (৫ নভেম্বর) মিয়ামিতে এক ভাষণে তিনি বলেন, “আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে।”
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, মাত্র এক বছর আগে আমেরিকানরা তাকে নির্বাচিত করে জাতির সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে এনেছিল, কিন্তু নিউইয়র্কের সর্বশেষ নির্বাচনের ফলে সেই অর্জনের একটি অংশ হারিয়ে গেছে।
তার ভাষায়, “যুক্তরাষ্ট্র এখন এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে; কমিউনিজম ও সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার মুহূর্তে।”
তিনি বলেন, “আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, আমাদের সামনে থাকবে একটি অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন, না কি একটি অর্থনৈতিক অলৌকিকতা।”
ফ্লোরিডার প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প আরও বলেন, “খুব শিগগিরই ফ্লোরিডা হবে সেইসব মানুষের আশ্রয়স্থল, যারা নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসবে।”
নিজের সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি অভিযোগ তোলেন, “আমার বিরোধীরা একটি অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন তৈরি করছে, যেখানে আমরা কাজ করছি আমেরিকান কর্মী ও পরিবারের মজুরি বাড়াতে।” ট্রাম্পের দাবি, কংগ্রেসনাল ডেমোক্র্যাটরা এখন প্রমাণ করছে তারা আসলে আমেরিকার সঙ্গে কী করতে চায়। “তারা একজন কমিউনিস্টকে মেয়র বানিয়েছে,” বলেন তিনি।
তার মতে, প্রতিপক্ষরা যুক্তরাষ্ট্রকে “কমিউনিস্ট কিউবা বা সমাজতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলায়” রূপান্তরিত করতে চায়।
৩৪ বছর বয়সী দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক নেতা জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস সিলওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন।
বিজয়োৎসবে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে মামদানি বলেন, “তার জন্য চারটি শব্দ আছে; টেলিভিশনের ভলিয়ম বাড়ান!”