
নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্তির আবেদন যাচাই শেষে ১৬টি সংস্থার বিষয়ে যেকোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা জানাতে নির্বাচন কমিশন জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন এই সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, “বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে; অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে; সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো দাবি বা অভিযোগ থাকে, তবে তাদের অবশ্যই প্রমাণাদিসহ আপত্তিকারীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে ৬ সেটে লিখিত আপত্তি দাখিল করতে হবে। কমিশন আপত্তি শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে এবং এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।” গণবিজ্ঞপ্তিটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য ১৬টি বেসরকারি সংস্থা হলো: এসো জাতি গড়ি (এজাগ), নেত্রকোনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এনএসডিও), ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পিওর (ডরপ), হেল্প সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা (ডিএমইউএস), রুরাল ইকোনমিক সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রেসডো), রাসটিক, বাঁচতে শেখা, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা), ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান), যুব একাডেমী, এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি) এবং উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কমিশন ইতিমধ্যে স্থানীয় ৬৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল। সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ৭টি সংস্থার বিষয়ে আপত্তি থাকায় তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।
এভাবে, আবেদন করা ১৬টি সংস্থার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দাবী বা আপত্তি জানাতে বলা হলো। এরপর চূড়ান্তভাবে দেশের ৬৬টি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নিশ্চিত করা হবে।