
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই যানজটে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীদের নানা কর্মসূচির কারণে সড়কে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দেয়। ট্রাফিক বিভাগের আশঙ্কা, সন্ধ্যার পর যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে পারে।
সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কয়েকটি পিকআপযোগে বারিধারার দিকে রওনা দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-র নেতাকর্মীরা। বাড্ডা লিংক রোডের কাছে গিয়ে তারা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন। এতে পুরো বাড্ডা, গুলশান, লিংক রোড এবং হাতিরঝিল এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা।
এছাড়া ‘জুলাই আন্দোলনের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র্যালি আয়োজন করে। এতে পল্টন, শান্তিনগর, মগবাজার, কাকরাইল, মতিঝিল, ও মৎস্য ভবন এলাকাজুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। রামপুরা-বাড্ডা সড়কেও গাড়ির গতি ছিল অত্যন্ত ধীর।
শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, শিক্ষার্থীরাও এদিন সড়কে নেমে আসেন। সকাল ১১টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি চালুর দাবিতে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। এতে নিউ মার্কেট ও সায়েন্সল্যাব সড়কেও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই চাপ বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
ভোগান্তির চিত্র উঠে আসে পথচারীদের অভিজ্ঞতায়ও। রামপুরা থেকে কাকরাইলমুখী যাত্রী মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, ‘সারা রাস্তায় গাড়ি আটকানো। মৌচাক মোড়ে গিয়ে রিকশা নেবো। রিকশা নিয়ে গলির ভেতর দিয়ে যেতে হবে, তা ছাড়া এখন উপায় নাই। এ ভোগান্তির শেষ কোথায়।’
আরেক যাত্রী জানান, ‘শুনেছি বাড্ডার দিকে না কী রাস্তা বন্ধ ছিল। এজন্য এদিকে চাপ বেড়েছে। গাড়িতে বসা ছিলাম, নেমে গেছি। মধ্য বাড্ডা যাবো।’
এ বিষয়ে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মামুন মিয়া বলেন, ‘কয়েকটি কর্মসূচির কারণে সকাল ১০টা থেকেই রামপুরা-বাড্ডা রোডে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। লিংক রোডে বেলা ১১টার দিকে রাস্তা বন্ধ ছিল। যার কারণে আশপাশের সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া নয়াপল্টনে বিএনপির কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচি শেষ হলে সড়কে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি।’