জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয়ে পুরাতন কলা ও বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করার পর নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিবাদ মিছিলে সাধারন শিক্ষার্থীদের মূল স্লোগান ছিল তুমি কে, 'আমি কে- হাদি হাদি।' এছাড়াও চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, "এটি কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কর্মসূচি নয়। এটি জুলাই অভ্যুত্থানের স্বপক্ষের শক্তির কর্মসূচি। যারা দেশকে ভালোবাসে, দেশের মানুষকে ভালোবাসে, দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চায় এটি তাদের মিছিল।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী জনাব আব্দুল্লাহ রিমন তার বক্তব্যে বলেন," শরিফ উসমান হাদি ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানের একজন অগ্রনায়ক। আজ তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এইটা আমাদের জন্য, এই জাতির জন্য লজ্জাজনক। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।"
আরেকজন শিক্ষার্থী রাজু শেখ তার বক্তব্যে জানান, " শরীফ উসমান ভাই আজ গুলিবিদ্ধ। এইটা আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ব্যর্থতা। এই সরকার জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিতে বার বার ব্যর্থ হয়েছে।"
সবশেষে তিনি সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এবং শরীফ ওসমান হাদির জন্য দোয়া চেয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এশার নামাজের পর দোয়া মাহফিল আয়োজন করার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষনা করে।