ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ছাত্র-জনতা শহর প্রদক্ষিণ করে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের চকবাজার জামে মসজিদ এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন।
এ সময় ছাত্র-জনতা 'হাদীর ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে', 'চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার', 'হাদী ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না', 'আবু সাঈদের একশান, ডাইরেক একশান' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে উত্তর তেমুহনী এলাকায় সমবেত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন।
সমাবেশ বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সেনানায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে যে আঘাত করা হয়েছে, তাতে আমাদের আন্দোলন থেমে থাকবে না। যত বাধা–নিষেধই আসুক, যত গুলিই চলুক- আমরা জুলাই এবং ইনসাফের চেতনা নিয়ে বেঁচে থাকব। আমাদেরকে গুলি করে বা কুপিয়ে কখনোই থামাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
আরও বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাত্র এক দিন পরেই একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর বন্দুক হামলা হয়েছে। সুতরাং এই নির্বাচন মেসেজ দিচ্ছে এটা কতটা ভয়ংকর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। রক্তাক্ত জুলাইয়ের রাজপথ থেকে ওঠে আসা ওসমান হাদি আজ রক্তাক্ত। তিনি সর্বদা ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। আমরা মনে করি, আজকের এই হামলায় মুজিব সন্ত্রাসীরা জড়িত। একই সাথে তিনি দেশের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী কন্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। আমরা আরও মনে করি ঢাকার চাঁদাবাজদের গডফাদারদেরও এতে হাত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর শহর শিবির সভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক মোঃ আরমান হোসেন, সদস্য সচিব সায়েদুর রহমান রাফি, বায়েজিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম মুরাদ, আরিয়ান রায়হান প্রমুখ।