.png)
দক্ষিণ লেবাননের সারদা এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউএনআইফিলের একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা গুলিবর্ষণ করেছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ইউএনআইফিল জানায়, এই হামলা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১-এর সরাসরি ও গুরুতর লঙ্ঘন।
সংস্থাটি জানায়, মঙ্গলবার লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তবর্তী ব্লু লাইনের কাছে টহলরত শান্তিরক্ষীদের গাড়িবহরের দিকে একটি ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাংক থেকে গুলি চালানো হয়। প্রথম ধাপে শান্তিরক্ষীদের মাথার ওপর দিয়ে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এরপর চার দফায় আরও ১০ রাউন্ড করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
গোলাগুলি শুরু হওয়ামাত্র ইউএনআইফিল দ্রুত তাদের সমন্বয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনীকে গুলি বন্ধের অনুরোধ জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার সময় শান্তিরক্ষী দল এবং ইসরায়েলি ট্যাংক- উভয়ই লেবাননের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিল।
ইউএনআইফিল জানায়, “শান্তিরক্ষীদের ওপর বা তাদের আশপাশে হামলা নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১-এর গুরুতর লঙ্ঘন। আমরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে এসব আগ্রাসী আচরণ বন্ধ করার আহ্বান জানাই।” ঘটনাটি নিয়ে ইসরায়েলের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। হতাহতের খবরও নেই।
দক্ষিণ লেবাননে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইউএন শান্তিরক্ষীরা অতীতেও বারবার ইসরায়েলি হামলা, লেজার টার্গেটিং ও সতর্কতামূলক গুলির মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক এগুলোকে “অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের জেরে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার অবসান ঘটায়। সেই সময় পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় মারা যান চার হাজারের বেশি মানুষ, আহত হন ১৭ হাজার।
যুদ্ধবিরতির পরও হামলা বন্ধ হয়নি। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী দেশটিতে এক হাজার ৩৮ বার আক্রমণ চালিয়েছে, যাতে অন্তত ৩৩৫ জন নিহত এবং ৯৭৩ জন আহত হয়েছেন।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ইসরায়েলকে দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও এখনো পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে তারা সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।