
পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর প্রাক্তন প্রধান ফয়েজ হামিদকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপসহ চারটি অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি সামরিক আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়েজ হামিদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অধীনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হামিদ এবং ইমরানকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। গত বছরের আগস্ট থেকে তিনি হেফাজতে আছেন এবং বিচারাধীন অবস্থায় কারাবন্দী ছিলেন।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চারটি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করা হয়েছিল। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে:
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের স্বার্থে ক্ষতি করা, কর্তৃত্ব ও সম্পদের অপব্যবহার, ব্যক্তিদের অন্যায়ভাবে ক্ষতি করা।
ইমরান খানের সঙ্গে সম্পর্ক:
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, ৭২ বছর বয়সী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২০২৩ সালের মে মাসে তার হাজার হাজার সমর্থক সামরিক স্থাপনা ও অফিসে হামলা চালায়। এ ঘটনার সঙ্গে ফয়েজ হামিদের ভূমিকার জন্য তাকে পৃথক তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, হামিদ ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছেন এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন, যেখানে তিনি ইমরানের দলের উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রয়টার্স জানায়, হামিদের আইনজীবী বা পরিবারের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি। ইমরান খানের পিটিআই দলও রয়টার্সের অনুরোধে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরে সামরিক সদর দপ্তরে হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে এবং তার দলের প্রায় ১৫০ নেতা-সমর্থককে ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ইমরান এবং তার সহযোগীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০২২ সালে ইমরান খান সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের দায়ারোপ করেন। তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা গোয়েন্দা প্রধান ফয়েজ হামিদ সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনার বিষয় ছিল।