
ইরানের বিরুদ্ধে আবারও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতিসংঘ। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলোর উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তিন স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি অভিযোগ করেছে, ইরান ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গ করে ধারাবাহিকভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, এসব অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করেছে তেহরান। ইরান বলছে, তাদের পরমাণু প্রকল্প কেবল শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের অস্ত্র কেনাবেচা পুরোপুরি সীমিত হয়ে যাবে। একইসাথে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নসহ সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রমও নিষিদ্ধের আওতায় আসবে।
শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক ইরানি নাগরিকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে। একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যবহারযোগ্য যেকোনো সামগ্রী আমদানিও বন্ধ করা যাবে।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো এখন আইনগতভাবে ইরানের নিষিদ্ধ ঘোষিত যেকোনো উপকরণ জব্দ ও ধ্বংস করার অনুমতি পেয়েছে। পাশাপাশি, ইরানকে অন্য দেশে বাণিজ্যিক মালিকানা গ্রহণ, ইউরেনিয়াম আহরণ, উৎপাদন বা যেকোনো পরমাণু উপাদান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকতে হবে।