এবার জাহানারা ইস্যুতে মুশফিকের তীব্র নিন্দা

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সম্প্রতি আলোচিত ইস্যু হলো জাতীয় দলের পেসার জাহানারা আলমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা অভিযোগ। গতকাল এক সাক্ষাৎকারে যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা এই পেসার। জাহানারার অভিযোগের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার এই ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।

মুশফিক বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন ঘটনা ভয়াবহ বলে অভিহিত করেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘সম্প্রতি আমাদের ক্রিকেট সম্প্রদায়ে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভয়াবহ খবরের কথা জানতে পেরেছি। আমি যদিও ঘটনার দুই দিক বা পুরো সত্যটা জানি না, তবুও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই পৃথিবীতে কোনো ধরনের হয়রানির স্থান নেই, আপনি যেই হোন না কেন, আপনার লিঙ্গ বা অবস্থান যাই হোক না কেন।’

অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মুশফিক, ‘যদি অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষীদের অবশ্যই যথাযথ শাস্তি ও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। যারা এই কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি রইল। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ দেখান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের শক্তি ও ধৈর্য দান করুন।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন জাহানারা। বিসিবি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগটি গ্রহণ করেনি।

এরপর গতকাল আরেকটি সাক্ষাৎকারে জাহানারা আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন। গত কয়েক বছর ধরে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন তিনি। সাবেক নির্বাচক মনজুরুল ইসলাম, প্রয়াত নারী দলের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ, ম্যানেজার ফাইয়াজ, আরেক কর্মকর্তা বাবু, কোচ ইমন, ক্রিকেটার জ্যোতি, পিংকি, নাহিদা ও রিতুমনির নাম তিনি অভিযুক্তের তালিকায় উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে মনজুরুল এবং তৌহিদকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন জাহানারা।

জাহানারা বলেন, ‘উনি (মনজুরুল ইসলাম) একদিন আমার কাছে আসলেন, আমার কাঁধে হাত রেখে বলছিলেন, তোর পিরিয়ডের কতদিন চলছে। পিরিয়ড শেষ হলে বলিস, আমার দিকটাও তো দেখতে হবে। পিরিয়ড শেষ হলে, যখন ডাকবো চলে আসিস।’ আরেকটি অভিযোগে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচে যখন আমরা লাইনে হ্যান্ডশেক করি, তখন তিনি (মনজুরুল) হ্যান্ডশেক না করে জড়িয়ে ধরতেন।’