
গাজীপুর-৩ আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া এনামুল হক মোল্লাহকে অস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় তার ছয় সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলার বরকুল গ্রামের তার বাড়িতে অভিযান পরিচালিত হয়।
শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের প্রয়াত আবদুল আহাদের ছেলে এনামুল হক মোল্লাহ বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সৌদি আরবের মক্কা মিছফালাহ শাখা বিএনপির সভাপতি। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পোস্টার ও ব্যানারে এলাকায় সক্রিয়তা দেখানো মোল্লাহ শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন।
স্থানীয়রা জানান, একাধিক মামলার কারণে ২০১৭ সালে নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তিনি। ভিসা ও পাসপোর্টে তার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে ফিরে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এনামুল হক মোল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ছয় সহযোগীও গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শওকত মীর, জাহিদুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, সিদ্দিকুর রহমান, বুলবুল এবং তোফাজ্জল।
ওসি বারিক আরও জানান, অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি ওয়াকিটকি, ৪টি বেটন, ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি হ্যামার নেল গান এবং একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় এনামুল হক মোল্লাহর ছোট ভাই আশরাফুল মোল্লাহ অভিযোগ করেছেন, ‘গাজীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় এনামুল হক মোল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘এনামুল হক মোল্লাহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ২০০১ সালে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।’