
লক্ষ্মীপুরে শতাধিক অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রথম দিনেই তিনটি অবৈধ ইটভাটা আমানত ইটভাটা, জেসমিন সারোয়ার এবং আবদুল ওয়াহাব ব্রিকস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রামগতি উপজেলার চর আফজাল এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ৫টি ভ্যাকু মেশিন ব্যবহার করে এসব ভাটার চুল্লি, চিমনি ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। তবে অন্য ভাটায় অভিযানের পথে চৌধুরী বাজার এলাকায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, ফলে প্রশাসনিক দল কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন, ঢাকা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান, লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য।
রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, “রামগতি ও কমলনগরে মোট ৫১টি ইটভাটা রয়েছে, যার মধ্যে ৪৯টি অবৈধ। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় এসব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। টানা সাত দিন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পর যাতে পুনরায় চালু না করা যায়, সে বিষয়েও নজরদারি থাকবে। জেলার প্রায় শতাধিক ইটভাটার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, “রামগতিতে ৫১টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টিরই কোনো অনুমোদন নেই। এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ এবং চলতে দেওয়া হবে না। আমরা সবগুলো বন্ধ করে দেব। কোনো শক্তির কাছেই মাথা নত করা হবে না।”
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন জানান, “আজকের অভিযানে তিনটি অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। অন্য ভাটায় যাওয়ার পথে শ্রমিকরা সড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”