
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলার দারশাখেল এলাকায় শাহ সালিম থানায় পরিচালিত অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন যে বাংলাদেশি নাগরিক—তা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সামা টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, দেশীয় মুদ্রা ও কিছু ব্যক্তিগত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এসব প্রমাণের ভিত্তিতেই তার নাগরিকত্ব নিশ্চিত হয়।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, অতীতেও এ ধরনের অভিযানে কয়েকজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছিল। তারা মূলত ধর্মীয় দাওয়াত বা তাবলিগের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানে গিয়ে পরবর্তীতে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। এতে আবারও প্রমাণিত হলো পাকিস্তানের উগ্রপন্থী নেটওয়ার্কে বিদেশিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
শনিবার শুরু হওয়া অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনী নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত ১৭ জঙ্গিকে হত্যা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মুল্লা নাজির গ্রুপের অবস্থান শনাক্তের পর সেনাবাহিনী, স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) ও কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
দুদিন ধরে চলা এ অভিযানে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ঘিরে ফেলে বাহিনী। দীর্ঘ বন্দুকযুদ্ধ শেষে ১৭ জন নিহত হয় এবং আরও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। সংঘর্ষে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যও আহত হয়েছেন।