
ঢাকায় বৃষ্টি নাকি শামসুজ্জামান দুদুর দেওয়া কর্মসূচি? দ্বিধায় সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তবে তার বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। দুদুর দেওয়া ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপির আরেক নেতা সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পর পর দুটি স্ট্যাটাস দেন বিষয়টি নিয়ে। আজ দুপুর থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। এগুলো বৃষ্টি নাকি দুদুর দেওয়া কর্মসূচি? দ্বিধায় পড়েছেন সারজিস আলম। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে–এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার জবাবে আজ একটি আলোচনাসভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যদি একত্রে প্রস্রাব করে দেন তাহলে এই প্রস্রাবের তোড়ে ভেসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়বা। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। বিএনপির সম্পর্কে যে অভিযোগ করছ, সেই অভিযোগের জবাবে বিএনপি যদি শুধু থুথু ফেলে সেই থুথুর মধ্যে তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’তার এই বক্তব্যের পতিক্রিয়া সারজিস আলম সর্বশেষ পোস্টে বলেন, ‘ঢাকায় মুষলধারে যেটা হচ্ছে সেটা বৃষ্টি নাকি দুদু ভাইয়ের দেওয়া কর্মসূচি? Confused !’ এর আগে আরেক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘এত কিছু না করে বিগত ১৬ বছরে দুদু ভাই একটা গণপ্রস্রাব কর্মসূচির ডাক দিলেই পারতেন!'

নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র আঁচ করছেন ফখরুল
সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থেকে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২০ মে) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। আগামী ৩০ মে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যৌথসভা শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ‘বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে’—এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের যখন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখনো একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন, জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সজাগ থাকতে হবে, সেই সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য। সীমান্তের ওপার থেকে যে ষড়যন্ত্র চলছে—সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিলীন করতে না পারে। সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালিত হবে। এর মধ্যে, আগামী ২৭ ও ২৮ মে ঢাকায় হবে তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশ। ২৯ মে বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই দুই দিন মৃত্যুবার্ষিকীর অন্য কোনো কর্মসূচি থাকবে না। আর ৩০ মে সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নেতা-কর্মীরা।

বিএনপির ৮ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা: চলবে বিভাগীয় পর্যায়ে আন্দোলন
দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে রিজভী বলেন, যেহেতু ৭ জুন কোরবানি ঈদ। সেজন্য আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ তারিখ থেকে ২ জুন পর্যন্ত। ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তিনি বলেন, শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে আছে- ২৯ মে বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং মসজিদে মসজিদে গণদোয়া প্রভৃতি। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারা দেশে জেলা ও উপজেলা-থানা-পৌর ইউনিটগুলোও জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এরপর সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। ওই বছরের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লবের’ পর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএসএম সায়েমের নেতৃত্বে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক দল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জিয়া। বিএনপি দিনটি তার ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে। যৌথ সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লুটপাট চূড়ান্ত করার জন্য ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দেওয়া হচ্ছে না : দুদু
লুটপাট চূড়ান্ত করার জন্য সরকার ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইশরাককে। কোর্ট রায় দেওয়ার পরও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না। মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার। লুটপাট চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না। কোর্টের আদেশ যদি কেউ না মানে তাকে নব্য ফ্যাসিস্ট বলা যায়। সরকার সেই লাইনে যাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে– এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে আবাল বলব। কথা বলার আগে একটু চিন্তাভাবনা করে বলতে হয়। আবালের মতো কথা বললে তোমাদের সম্বন্ধে মানুষের ধারণা কোথায় যাচ্ছে একটু চিন্তা করো। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। হিসাব করে চলা ও বলা এবং গণতন্ত্রের রীতিনীতি না মানলে ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হবা। এরকম প্রতিহিংসামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশ যেদিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এ জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনূস ফেল করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। সুপ্রিম কোর্টেরও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অতি সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি। ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করত না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করত না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বয়স অনেক কম। হঠাৎ গুরুতর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে গেছেন। এজন্য তার কথাবার্তায় ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।’ সরকার বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে না দেওয়ার জন্য ‘গায়ের জোর খাটাচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (২০ মে) খিলক্ষেতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রাকিবুল হাসানকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। আদালতের রায় ঘোষণার পরও ইশরাককে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘এখানে অন্তর্বর্তী সরকার গায়ের জোর খাটাচ্ছে।’ তিনি প্রশ্ন রাখেন— ‘চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত মেয়র হতে পারলে ইশরাক কী দোষ করলো? অর্থাৎ সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত অপরাধীদের এখনও বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। কাজের চাইতে অকাজ বেশি করছে অন্তর্বর্তী সরকার।’ সম্প্রতি আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যখন আবাসনের দাবিতে যমুনার সামনে যান, তখন তাদের অসম্মান করা হয়, পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনাও পুলিশ দিয়ে এভাবে নির্যাতন করতেন।’ ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, মো. আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদত হোসেন। এসময় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত রাকিবুল হাসানের শরীরের খোঁজ নেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলটি। রাকিবুলের মায়ের সাথেও কথা বলেন তারা। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা ও সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় এবং যেকোনও প্রয়োজনে রাকিবুল হাসানের পাশে থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন নেতারা। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, ছাত্রদল দল নেতা মশিউর রহমান মহান, আব্দুল্লাহ আল মিসবাহসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগে আন্দোলন করবেন ইশরাক
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটার ও তার কর্মী সমর্থকদের বিশেষ বার্তা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি বর্তমান সরকারে থাকা বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগে কঠোর আন্দোলন করার ঘোষণা দিলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভাষাগত শিষ্টাচার মেনে সমালোচনা করতে বলেছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ইশরাক ফেসবুকে এরকম একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি আন্দোলনরত ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনগণ ও ভোটারদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বাদে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে যত ক্ষোভ থাকুক না কেন, আমরা তাদের অসম্মান হয় এরকম কিছু করা থেকে শতভাগ বিরত থাকি। আমরা সমালোচনা করি, রাজনৈতিক বক্তব্যর মধ্য দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করি, তাদের ভুল ধরিয়ে দেই কিন্তু অবশ্যই ভাষাগত শিষ্টাচার মেনে।’ ইশরাক আরও লিখেন, ‘অনেক তো দেখে আসছি আর পেছনের দিকে দেশটাকে নিতে চাই না। অবশ্যই আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করব, দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবো, নির্বাচনী স্পষ্ট রোডম্যাপ আদায়ের মাধ্যমে আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নিব। এমনকি বর্তমানে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগে কঠোর গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও করবো। কিন্তু ভাষা ও ব্যবহার জাতে শত্রুও সমালোচনা করতে না পারে।’

যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি
যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি। আজ বেলা ২টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া যৌথসভায় উপস্থিত থাকবেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবগণ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক/সদস্য সচিবগণ। যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের নারী নেত্রীদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জামায়াতে ইসলামীর নারী শাখার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (১৯ মে) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জামায়াতে ইসলামীর নারী শাখার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নারী সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা এবং নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে অর্থবহ আলোচনা হয়েছে, যা দলটির নারী সদস্যদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও জামায়াতের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মুহতারামা নুরুন্নিসা সিদ্দিকার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং একটি বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকটি অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কার্যক্রম ও কমিউনিটি সম্পৃক্ততা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে: মোস্তফা জামান
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ঢুকে গেছে। তাই তারা নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার পাঁয়তারা করছে। সোমবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার তলনা রুহুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর গুলশান থানা বনাম রামপুরা থানার উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জামান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সংস্কার ও বিচারের নামে নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি সতর্ক থাকি, তাহলে আগামীতে যত বাধা যত ষড়যন্ত্রই আসুক না কেন, সব কিছুই আমরা মোকাবিলা করতে পারব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ। খেলায় গুলশান থানা ২-১ গোলে রামপুরা থানাকে পরাজিত করে।

নুসরাতকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে এনসিপি। দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ চলতি মাসেই কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদি ও এর সমর্থকরা এখনও জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদেশের নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে। জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে। এতে বলা হয়, আমরা মনে করি, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এই ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচারে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল– ২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়নকল্পে আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন দেখতে পাইনি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি। সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আশু ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাই আমরা। এছাড়াও, হরেদরে মামলা এবং মামলা বাণিজ্যের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানায় এনসিপি।

আসিফকে অপদস্ত কইরেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অপদস্ত না করা অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার (১৯ মে) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন। পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, আসিফ মাহমুদের রক্তঝরা সংগ্রামের দিন আছে, হাসিনা-শাহীর গদি কাঁপানো স্লোগান আছে, ফ্যাসিস্ট পতনের বীরোচিত ইতিহাস আছে। আবার যদি দেশের প্রয়োজনে দরকার হয়, আসিফ মাহমুদ আবারও রাজপথে আসবে, স্লোগানে কণ্ঠ মিলাবে। তিনি বলেন, তাকে অপদস্ত কইরেন না, অন্যায্যতা চাপিয়ে দিয়েন না, বেইনসাফি কইরেন না। অপদস্ত কইরা, রক্ত ঝরায়া পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই, আপনারাও অপরাজনীতি কইরেন না। এর আগে সোমবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ বলেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে অনেক আইনি সমস্যা ও মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা আছে। জটিলতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। ডিএনসিসি মেয়র নিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ সংক্রান্ত বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এ সময় নগরবাসীর ভোগান্তি নিরসনে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তোলার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, শুক্রবার ১৬ মে একটি স্বনামধন্য প্রথমসারির স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলর কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসাবে অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে কিছু সময়ের জন্যে যোগ দেই। সেই অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত থাকবেন, আমার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করতে হবে এই বিষয়গুলো কিছুই জানা ছিলো না। তিনি আর বলেন, ওই অনুষ্ঠানটিতে একজন অতি বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে ছবি ওঠে যাকে আমি আগে চিনতাম না এবং তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম না। ২০১৫ সালে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তখনকার অনেক সেনসিটিভ ঘটনা আমার চোখে এড়িয়ে যায়। এটা আমার সীমাবদ্ধতা, আমার জানা উচিত ছিলো। এই ছবিটি দেখার পর আমার অনেক প্রাণপ্রিয় ভাই ও সহযোদ্ধাদের মনে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। আমি সেটার জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হওয়ার কথা দিচ্ছি। এর আগে, বিকেলে আদালতের রায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘিরে নেতাকর্মীদের কর্মসূচি এবং অন্তর্বর্তী সরকার ও এনসিপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেন ইশরাক হোসেন। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার লোভ এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ এবং এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা মাতা তুলে গালি গালাজও চুপ করে সহ্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটার অধিকারের স্বার্থে। সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কি ভূমিকা পালন করবে তা ক্লিন কাট বুঝিয়ে দিল। ইশরাক হোসেন বলেন, কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে নয়, বরঞ্চ একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরা হাসিনার মতোই বিচারকদের হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে। উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং আমলাতন্ত্র হাসিনার দোসরদের সঙ্গে নিয়ে লম্বা কুচক্র পরিকল্পনা করছে। একদিন এদের সবার নাম পরিচয় প্রকাশ পাবে। ইশরাক হোসেন আরও বলেন, হাসিনারেও বলছিলাম কবরটা ঠিক করাই আছে আল্লাহর হুকুম থাকলে সেখানেই হবে ইনশাআল্লাহ। লড়াই শেষ হয় নাই। হয় দাবি আদায় করবো না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব। গণতন্ত্রের সাথে, জনগণের ভোটার অধিকারের সাথে এক চুল ছাড় হবে না।

দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু
দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে- এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে, গত জুলাইয়ে আন্দোলন করেছে। অথচ এখন নির্বাচন বাদে বাকি সব করছে অন্তর্বর্তী সরকার।’ সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুকে উপেক্ষা করছে। এর মাধ্যমে দেশ একটা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বাজেট বলুন আর অর্থনৈতিক নীতি, কিছুই কাজ করবে না।’ আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নেওয়া এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। এই মুহূর্তে আমরা কোথায় যাচ্ছি, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাবে, এই সরকার কত দিন থাকবে, নির্বাচন কবে হবে, নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে—এই বিষয়গুলো সবার মনে কাজ করছে। এখানে আমরা কোনো নিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছি না।’ একটি প্রশ্নবিদ্ধ জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ওপরে ভিত্তি করে বাজেট তৈরি হচ্ছে দাবি করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে মূলত আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বাজেটের ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি। সেখান থেকে আলাদা করে কোনো কিছু করা হয়নি। বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক পটভূমি কতটুকু চিন্তা করা হয়েছে, সেই প্রশ্নগুলো আমাদের করা দরকার।’ মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোরের বিষয়টি নিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। অথচ অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ বাংলাদেশে ব্যবসা–বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি। বিগত সময়ে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই লুটপাট হতে দেখেছি। আপনি যত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবেন, তত লুটপাট হবে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’ আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের সহনশীল হতে হবে। অন্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও তার পথের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে এই রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে না পারলে আমরা সামনে এগোতে পারব না। সুতরাং আমাদের সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

দাবি আদায় করব, না হয় মাটির নিচে শায়িত হব: ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে চলছে টানা আন্দোলন। আজ সোমবার টানা ষষ্ঠ দিনের মতো নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁর সমর্থকেরা। এই আন্দোলন চলার মধ্যেই মুখ খুলেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা–মাতা তুলে গালিগালাজও চুপ করে সহ্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটের অধিকারের স্বার্থে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কি ভূমিকা পালন করবে তা ক্লিনকাট (পরিষ্কার) বুঝিয়ে দিল। যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে নয়; বরং একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরা হাসিনার মতোই বিচারকদের হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে। উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং আমলাতন্ত্রে হাসিনার দোসরদের সঙ্গে নিয়ে লম্বা কুচক্র পরিকল্পনা করছে। একদিন এদের সবার নাম–পরিচয় প্রকাশ পাবে। হাসিনারেও বলছিলাম, “কবরটা ঠিক করাই আছে, আল্লাহর হুকুম থাকলে সেখানেই হবে, ইনশাআল্লাহ।” লড়াই শেষ হয় নাই। হয় দাবি আদায় করব, না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব। গণতন্ত্রের সঙ্গে, জনগণের ভোটের অধিকারের সঙ্গে একচুল ছাড় হবে না।’

ইন্ডিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছে যুবলীগের ৩ নেতা
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানা পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা সবাই নিজেদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন। তারা হলেন— মজনু গাজী, মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী এবং মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন। মজনু গাজীর বয়স ৫২ বছর, তিনি খুলনার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা। ৪০ বছর বয়সী কামাল শেখের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশি ইউনিয়নে। মেহেদী হাসানের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি। জানা যায়, তাদের গ্রেফতার করা হলেও ৫ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। প্রথমে রহড়া এলাকা থেকে মজনু গাজী ও কামাল শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তীতে কলকাতার নিউটাউনের লস্করপাড়া এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। রোববার (১৮ মে) তাদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কামাল শেখ নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন। একই দাবি করেছেন বাকি দু’জনও। কামাল শেখ পুলিশকে বলেছেন, আমি সেখানে (বাংলাদেশে) ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব ছিলাম। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর ৮ আগস্ট সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করি এবং রহড়া থানার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করি।

হাসনাত আব্দুল্লাহর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজনঃ সেলিম ভূঁইয়া
‘বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের টাকায় চলে’ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক(দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর করা এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপির কুমিল্লার নেতারা। সোমবার (১৯ মে) কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ১৬ মে কুমিল্লার একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘‘কুমিল্লায় বিএনপির রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে’’। তার বক্তব্য শিশুসুলভ। তিনি রাজনীতিতে অপরিপক্বতার কারণে শিশুসুলভ বক্তব্য দিয়েছেন। তার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’ তিনি বলেন, ‘হাসনাত আবদুল্লাহ বর্তমানে কিংস পার্টি খ্যাত এনসিপির মুখপাত্র। তার মতো ব্যক্তিদের দিয়ে পরিশীলিত রাজনীতি হবে না। রাজনীতিতে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হয় এবং অন্য দল ও নেতাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হয়। হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে বিএনপির কুমিল্লার নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তার বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে বিএনপির কুমিল্লার নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা সম্ভব নয়।’ এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘হাসনাত আবদুল্লাহ যদি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করে দুঃখ প্রকাশ না করে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে তাকে কুমিল্লায় কোনও অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। তাকে কুমিল্লার মাটিতে পা রাখতে দেওয়া হবে না। কিন্তু আমরা তাকে এখনও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করিনি। স্পেস খালি রেখেছি- যদি বিএনপির কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে অবাঞ্ছিত করা হবে।’ লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব ছেলে-মানুষী নেতাদের রাজনীতিতে নামিয়ে সরকারকে বিতর্কিত করছেন। সরকারের উচিত তাদের রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সরকার নির্বাচনকে যত বিলম্ব করবে ততই দেশের জনগণের আস্থা হারাবে। জনগণ চায় নির্বাচন।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়াসহ বিএনপির জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পূর্বে আওয়ামী লীগ যেভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় জীবন যাপন করতো, এখন এসেও স্বাভাবিক অবস্থায় জীবন যাপন করছে—এটা আমাদের ব্যর্থতা।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আমরা নিষিদ্ধ করতে পেরেছি কিন্তু আওয়ামী লীগের যে ডোনার, আওয়ামী লীগের অর্থ ব্যবস্থা, সেটা এখনও অক্ষত। আমি কুমিল্লায় আছি, যে উপজেলায় আছি, সেই উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন আওয়ামী লীগের টাকায় চলে, বিএনপির রাজনীতিও এখন আওয়ামী লীগের টাকায় চলে।’

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন চালানো হচ্ছে: উপদেষ্টা আসিফ
মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে অনেক আইনি সমস্যা ও মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (১৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। পোস্টে তিনি ১০টি বিষয় তুলে ধরেন। সেগুলো হলো: প্রথমত : আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইবুনাল এই রায় প্রদান করেছে। দ্বিতীয়ত : নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে, এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি তৃতীয়ত : আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও, মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সাথে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থত : উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না, এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোন নির্দেশনার উল্লেখ নেই। পঞ্চমত : শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন। ষষ্ঠত : বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত মামলায়, আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইবুনাল। ফলে ট্রাইবুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না। সপ্তম : মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। অষ্টম : নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের’ কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোন নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে। নবম : এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। দশম : আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না। আসিফ লেখেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি লেখেন, এ সকল জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোন সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেউ বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তার দল ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে। ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেক্যুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক-কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি’র দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। এই পোস্টে নানা বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন (অঞ্চল) তৈরির ভিশন আছে এনসিপির। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি'র দৃষ্টিভঙ্গি- ১। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই এনসিপির পথচলা। এছাড়াও আমরা বাংলার হিন্দু-মুসলমান-দলিতের উপনিবেশবিরোধী ও ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করি। ২। এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম- তার নৈতিকতা ও মানবিকতা এবং বাঙালি মুসলমানের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনচর্চাকে এনসিপি মূল্যায়ন করে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এনসিপি। এনসিপি মনে করে রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। এনসিপি ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে এবং ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক (Theocratic) কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না; বরং ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ অনুশীলনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়াই এনসিপির লক্ষ্য। ৩। এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। বহু ভাষা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় বদ্বীপের সভ্যতাগত পরিচয়কে ধারণ করে জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলবে এনসিপি। ৪। নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন এনসিপির অন্যতম মূলনীতি। নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে এনসিপি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তিতে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে এনসিপি কাজ করবে। ৫। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের জন্য একটি সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি। এনসিপি এই আধিপত্যবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবে। এনসিপি মনে করে বাংলাদেশের উচিত ন্যায্যতা, মর্যাদা, সভ্যতা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে অন্য রাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। ৬। এনসিপি বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক দূর্নীতিমুক্ত একটি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুরুপ হবে। শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির প্রধান নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন আছে এনসিপির। ৭। এনসিপি বিশ্বাস করে, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা এনসিপির প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য প্রথম ধাপটি হচ্ছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রনয়ণ।’

আসিফের বিবৃতিকে মিথ্যাচার বললেন ইশরাকের অনুসারীরা
ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে ইশরাক হোসেনের শপথ সংক্রান্ত ইস্যুতে দশটি বাধা আছে বলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন তাকে চরম মিথ্যাচার বলেও আখ্যা দিয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা। সোমবার (১৯ মে) বিকেলে নগর ভবনের সামনে ব্লকেড কর্মসূচি থেকে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবারও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিটি করপোরেশনের সাবেক সচিব মশিউর রহমান। এখনও কেনো ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন তুলে মশিউর রহমান বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যদি আগামীকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে এই দাবি মেনে নেওয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। এর আগে সোমবার বেলা ১১টা থেকে নগরভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। বেলা ১১টার কর্মসূচির আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গ মার্কেট এলাকা ব্লকেড করে দেয় আন্দোলনকারীরা।একইসঙ্গে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্যত সকাল থেকেই অচলবস্থা বিরাজ করে নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকায়। আন্দোলনকারীরা বলছেন, জনগণের ভোটের রায় শেখ হাসিনা ছিনিয়ে নিয়েছিল। আদালতের রায়ে ভোটের মর্যাদা ফিরে পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনও গেজেট দিয়েছে। কিন্তু এই সরকারের লোকজন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে না। অবিলম্বে ইশারাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। এদিকে সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে স্টেজ বানিয়ে অবস্থান করে নগর ভবন এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে গেল পাঁচ দিন ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে গত শনিবার এবং রোববার সচিবালয় অভিমুখে হাজার হাজার নগরবাসীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের ভেতরে যাওয়ার সব গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দফতরে বসতে পারছেন না। ফলে জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে আসা সেবা প্রত্যাশীরা কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছেন।
-20250124034350.jpg)
আওয়ামী লীগের আমলের সব নির্বাচনই অবৈধ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই অবৈধ। সোমবার (১৯ মে) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সংগঠনটি জানায়, তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বলে মনে করে এবং সেই আমলের সব নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, যারা এই সত্য মেনে নেয় না, তারা ফ্যাসিবাদ থেকে সুবিধা নিচ্ছে। এদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে অনেক আইনি সমস্যা ও মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা আছে। জটিলতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ইউএনএফপিএর সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে এ কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এ সময় নগরবাসীর ভোগান্তি নিরসনে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের পাকিস্তান সফর বিষয়ে তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী কোনো স্টেডিয়ামে যাতে খেলা না হয় এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান অ্যামবেসির সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।

মুক্তিযুদ্ধ-ধর্ম-নারীর বিষয়ে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করলেন নাহিদ ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র, ধর্ম, নারীসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। আজ সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এনসিপির সাত দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য প্রথম ধাপটি হচ্ছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন বলে দাবি করেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই এনসিপির পথচলা। এ ছাড়াও আমরা বাংলার হিন্দু-মুসলমান-দলিতের উপনিবেশবিরোধী ও ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করি। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম—তার নৈতিকতা ও মানবিকতা এবং বাঙালি মুসলমানের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনচর্চাকে এনসিপি মূল্যায়ন করে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এনসিপি। এনসিপি মনে করে রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। এনসিপি ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে এবং ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না।এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক (Theocratic)—কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না; বরং ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ অনুশীলনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়াই এনসিপির লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন, এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। বহু ভাষা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় বদ্বীপের সভ্যতাগত পরিচয়কে ধারণ করে জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলবে এনসিপি। পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তিতে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে এনসিপি কাজ করবে জানিয়েছে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন এনসিপির অন্যতম মূলনীতি। নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে এনসিপি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তিতে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে এনসিপি কাজ করবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের জন্য একটি সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি। এনসিপি এই আধিপত্যবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবে। এনসিপি মনে করে বাংলাদেশের উচিত ন্যায্যতা, মর্যাদা, সভ্যতা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে অন্য রাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। এনসিপির অর্থনৈতিক ভিশন সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক দূর্নীতিমুক্ত একটি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুরুপ হবে। শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির প্রধান নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন আছে এনসিপির। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা এনসিপির প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি বিশ্বাস করে, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য প্রথম ধাপটি হচ্ছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রনয়ণ।

সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে: তারেক রহমান
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সকলে মিলে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে। আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নেওয়া, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। রোববার (১৮মে) লন্ডনের স্থানীয় সময় একটি হোটেলে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বহির্বিশ্বে যারা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সকল বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনে খেলোয়াড় তৈরি করতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ৪টি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সকল বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করবো। যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর যারা খেলাধুলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-প্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা ঢাকা শহরে ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলার মাঠ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি। অন্তত দুটি ওয়ার্ডের মাঝখানে যদি তিন থেকে চার বিঘা জমি বের করা যায় সেখানে মাঠ করা হবে। বাচ্চারা খেলবে, মুরুব্বিরা হাঁটবে। অর্থাৎ মানুষ সেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবে। ঠিক এমন একটি চিন্তা আমাদের আছে। তারেক রহমান বলেন, আমরা স্কুলের সিলেবাস ঢেলে সাজাতে চাই। সেখানে খেলাধুলা ও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর জন্য পরীক্ষায় আলাদাভাবে নম্বর থাকবে। তার মানে খেলাধুলা তাকে করতেই হবে। আমরা এটা অন্তর্ভুক্ত করে দেব। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠান করতে চাই যেই সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে। ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইকে নিয়ে গর্ব করার জন্য যা যা থাকা দরকার কোকোর মধ্যে তার সবই উপস্থিত ছিল। আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর শরফরাজ আহেমদ শরফুর পরিচালনায় ও আবু নাসের শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— বিএনপি শীর্ষ নেতা ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর শাহে আলম, বগুড়ার বিএনপির সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহা-সচিব ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা হলেন— ফজলে রহমান (পিনাক), শেখ সাদেক, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, শাকিল চৌধুরী, আব্দুস সামাদ রাজ, ফাহিদুল আলম (ফরহাদ), অঞ্জনা আলম, মনোয়ার হোসেন, আলম শিমু, শফিউল আলম মুরাদ, কামরুজ্জামান চৌধুরী পাউন্ড, তুহিন মোল্লা প্রমুখ।

সরকার যেভাবে চলছে, এভাবে একটা দোকানও চলে না: অলি আহমদ
দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, সরকার যেভাবে চলছে, এভাবে একটা সরকার চলে না, এমনকি একটা দোকানও চলে না। রোববার (১৮ মে) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এসময় দেশের চলমান অবস্থা, সড়ক অবরোধ, মামলার জট, প্রশাসনিক অস্থিরতা এবং জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংকীর্ণতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অলি আহমদ বলেন, দেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে সবাই চিন্তিত, সবাই মঙ্গল চায়। ঢাকা অচল প্রায়। যার দাবি যেটা আছে সেটা নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছে। কেউ মেয়র হতে চায়, চাকরি তেকে বরখাস্ত হয়েছে চাকরি নিতে চায়, রাস্তা বন্ধ। দাবি-দাওয়া সঙ্গত কি না তার ধারে কাছেও নেই। নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ১৮ কোটি মানুষকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। অলি বলেন, আমার ইচ্ছে হলো আমি রাস্তায় বসে গেলাম। সরকার একটা নমনীয় ভাব নিয়ে চলছে। বিএনপির বিরুদ্ধে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মামলা, আজকে ৯ মাস পর্যন্ত সেই মামলার সমাধান হয়নি। বিএনপির সাবেক এ নেতা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে। হয়তো আমার নাম ব্যবহার করছে, হয়তো আমার দলের নাম ব্যবহার করছে, সরকারের কাজ হলো তাদেরকে ধরা। এখানে কারও প্রতি দয়া দেখিয়ে দেশ চালানো চলবে না। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাদের (সরকারের) কোন অধিকার নেই। দেশের বড় রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে ডেকে দেশের বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সশস্ত্র বাহিনী একটা বড় হোল্ডার। তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমি দল বলবো না, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এসময় আগামী বুধবার প্রেস কনফারেন্স করার কথাও জানান তিনি।

আগস্ট-অক্টোবরেই ভোট হতে পারে, ডিসেম্বরে কেন যেতে হবে : আমীর খসরু
নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন রাখেন, নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? আমি তো দেখছি ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তিন মাস সময় দরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নির্বাচন হতে পারে। রোববার (১৮ মে) রাজধানীর বনানীতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচার বিদায় করেছে। এর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি। বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার এমনভাবে কাজ করছে, যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করিডোর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়? এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র-সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মানা না হলে, আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে, সেটিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার বলে সংস্কার হবে, ঐকমত্য হবে। কিন্তু সেই ঐকমত্য কোথায় তৈরি হচ্ছে? কাদের সঙ্গে এই মতৈক্য? বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিতে চাচ্ছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই। আমীর খসরু বলেন, আগামীতে যত নির্বাচন হবে, তা যেন সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। এটি যেন একটি রুটিনে পরিণত হয়। সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই মাস আগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি। লিখিতও দিয়েছি। অর্থাৎ, আইনি প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সরকার নাটক কেন করল, মানুষের মনে এমন প্রশ্ন রয়েছে।