দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু


saurav/Untitled-1-67ebcdf7619c9.jpg

দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে- এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে, গত জুলাইয়ে আন্দোলন করেছে। অথচ এখন নির্বাচন বাদে বাকি সব করছে অন্তর্বর্তী সরকার।’

সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুকে উপেক্ষা করছে। এর মাধ্যমে দেশ একটা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বাজেট বলুন আর অর্থনৈতিক নীতি, কিছুই কাজ করবে না।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নেওয়া এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। এই মুহূর্তে আমরা কোথায় যাচ্ছি, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাবে, এই সরকার কত দিন থাকবে, নির্বাচন কবে হবে, নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে—এই বিষয়গুলো সবার মনে কাজ করছে। এখানে আমরা কোনো নিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছি না।’

একটি প্রশ্নবিদ্ধ জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ওপরে ভিত্তি করে বাজেট তৈরি হচ্ছে দাবি করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে মূলত আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বাজেটের ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি। সেখান থেকে আলাদা করে কোনো কিছু করা হয়নি। বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক পটভূমি কতটুকু চিন্তা করা হয়েছে, সেই প্রশ্নগুলো আমাদের করা দরকার।’

মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোরের বিষয়টি নিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। অথচ অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’

বাংলাদেশে ব্যবসা–বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি। বিগত সময়ে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই লুটপাট হতে দেখেছি। আপনি যত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবেন, তত লুটপাট হবে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের সহনশীল হতে হবে। অন্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও তার পথের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে এই রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে না পারলে আমরা সামনে এগোতে পারব না। সুতরাং আমাদের সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×