
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনের জন্য বিএনপি চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে সাঈদ আল নোমানকে, যিনি প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দলটি এই মনোনয়নের খবর নিশ্চিত করেছে।
এর আগে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাঈদ আল নোমান বর্তমানে জাতীয়তাবাদী পাটশ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মোট ১৬টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে বিএনপি ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। চট্টগ্রাম-১১ ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনটি তখন ফাঁকা ছিল। আমীর খসরুকে চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার পর এখন কেবল চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি শূন্য রয়েছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আমীর খসরুর ছেলে ইসরাফিল খসরু চৌধুরীও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
প্রার্থী ঘোষণা করা ৭টি আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল, আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য। পূর্বে এখানে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এবার তাকে বাদ দিয়ে দল এই আসনে সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত করেছে।
চট্টগ্রামে মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে, যা ১৫টি উপজেলা ও ৩৪টি থানার এলাকা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে নগরে ৪টি, উত্তরে ৭টি ও দক্ষিণে ৫টি আসন। তফসিল ঘোষণার পর ১১ ডিসেম্বর তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়। প্রার্থী হওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ১৫০টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
তবে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ৫৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ১৩ জন। অর্থাৎ প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রার্থী দলীয় অনুমোদনের বাইরে মনোনয়ন নিয়েছেন। কিছু আসনে সর্বোচ্চ ৮ জন নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
মাহবুবের রহমান বলেন, “আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আসন পরিবর্তন করা হয়েছে। তার আগের আসনে সাঈদ আল নোমানকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-৪ আসনে আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।”