
নির্বাচনের আগে সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব সামনে এলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি নিজের সম্পদ, বিনিয়োগ ও আয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন।
হলফনামা অনুযায়ী, ডা. শফিকুর রহমানের মোট সম্পদের মূল্য ১ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৪০ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ রয়েছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা এবং স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি। সোমবার ২৯ ডিসেম্বর তিনি এসব তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন।
নির্বাচনি নথিতে উল্লেখ করা হয়, তার নামে ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমির ওপর নির্মিত একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ টাকা। পেশাগত পরিচয়ে তিনি চিকিৎসক। এছাড়া তার মালিকানায় দুই লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, বন্ড, ঋণপত্র এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকা। তিনি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি বলেও উল্লেখ করেছেন।
ডা. শফিকুর রহমানের মালিকানায় ২ একর ১৭ শতক কৃষিজমি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বর্তমানে তার হাতে থাকা মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ টাকা। কৃষিখাত থেকে তার বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার ঢাকা-১৫ আসনের জন্য জামায়াত আমিরের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মুসা।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। শহিদ হাদি ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠছে, সেই বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. শফিকুর রহমান।’