
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। যদিও তার নামে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছিল, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তার ভাই ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম জানিয়েছেন যে, এটি মাহফুজ আলমের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাহবুব আলম বলেন, “মাহফুজ আলমের অনুমতি ছাড়া কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে, যা তাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। ফলে তিনি ফরম জমা দেবেন না এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণও করবেন না।”
মাহবুব আলম আরও বলেন, “এই ঘটনার কারণে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসলামী সমমনা জোট থেকে এনসিপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমি নিজেই লক্ষ্মীপুর-১ আসনে লড়াই করব।”
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানিয়েছে, মাহফুজ আলম রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে আপাতত কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি। জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তার নামে ফরম নেওয়া হলেও এটি কেবল শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসাহের বহিঃপ্রকাশ।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুর-১ আসনটি এবারের নির্বাচনে গুরুত্ব পাচ্ছে। মাহফুজ ও মাহবুব আলম ছাড়াও এখান থেকে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেওয়া শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের জাকির হোসেন পাটওয়ারী, জামায়াতে ইসলামের মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, জাতীয় পার্টির মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, এছাড়া বাসদ, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়াইয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাহফুজ আলমের সরে দাঁড়ানো এনসিপির হয়ে ভাই মাহবুব আলমের নির্বাচনী লড়াইকে আরও সুস্পষ্ট করেছে। তবে এই আসনে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের শক্তিশালী প্রার্থী থাকার কারণে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল।
স্থানীয় রাজনীতিতে মাহফুজ আলমের নির্বাচনে অনুপস্থিতি নতুন মেরুকরণ তৈরি করতে পারে। চূড়ান্ত লড়াইয়ে কতজন প্রার্থী টিকে থাকবেন, তা জানা যাবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত।