
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন দুই সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারা নিজেদের পাশাপাশি কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নির্বাচন ভবনে গিয়ে পৃথকভাবে লিখিত আবেদন জমা দেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ এবং মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার আবেদন তুলে ধরেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তিনি নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তার সঙ্গে বিপুলসংখ্যক কর্মী ও সমর্থক সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
তবে অভিযোগ করে সিগমা বলেন, এই আইনসম্মত গণসংযোগ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ ন্যাক্কারজনক তৎপরতা চালাচ্ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে তার এক নির্দোষ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। এর ফলে কর্মীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং তার নির্বাচনী কার্যক্রম গুরুতরভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) সম্পর্কে সিগমা বলেন, তিনি একজন নিরীহ ও এলাকায় জনপ্রিয় ব্যক্তি এবং তার বিরুদ্ধে আগে কখনো কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর দায়ের করা একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে, যদিও তিনি এজাহারভুক্ত নন। অষ্টগ্রাম থানার কাছেই তার বসবাস হলেও গত এক বছরে পুলিশ কখনো তাকে খোঁজেনি। এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট, পরিকল্পিতভাবে কর্মীদের মধ্যে ভীতি তৈরির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আবেদনে সিগমা অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও প্রশ্নাতীত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, “পুলিশি ভীতির কারণে আমি ও আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এজন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।”
অন্যদিকে, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি তাদের অবহিত করেন।