
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমির (৩০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, তিনি পারিবারিক বিষয়ের কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন যে কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক সাংবাদিকদের জানান, “জান্নাত আরা রুমি পারিবারিক কলহ বা পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। হতাশা থেকে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।”
তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোডের একটি বেসরকারি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাত আরা রুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাত হোসেন বলেন, “৯৯৯ নম্বরে ফোন কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হোস্টেলের ঘরগুলো হার্ডবোর্ড দিয়ে পার্টিশন করা, তাই পাশের রুম থেকে কিছুটা দৃশ্য দেখা যায়।”
তিনি আরও জানান, রুমির কক্ষে অ্যান্টি-ডিপ্রেশনের ওষুধ পাওয়া গেছে এবং পারিবারিক কারণে মানসিকভাবে তিনি বিপর্যস্ত ছিলেন, যা আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে জানা গেছে।
জান্নাত আরা রুমি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার জাকির হোসেনের কন্যা। তিনি এনসিপির ধানমন্ডি থানা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর বেলা ১১:৩০টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রেজা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে জানান, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জিয়ার কবর খুঁড়তে চাওয়া রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজনকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে দিয়েছিলেন জান্নাত আরা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ জান্নাত আরাকে সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিলেন।