
পাকিস্তানে ২০২৫ সালে সন্ত্রাসী হামলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় চলতি বছরে অন্তত ৩ হাজার ৮২২ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টাল (এসএটিপি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ফার্স্টপোস্টের।
এসএটিপি’র প্রতিবেদনে ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের কারণে নিহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে নিহতের সংখ্যা ৭০.৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে, যখন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
সেসময় পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে হামলায় ১৩৪ শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড়শ জন নিহত হন। পরবর্তী বছরগুলোতে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কমে আসে। ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে দেশটিতে প্রাণ হারান ৩ হাজার ৬৮৫ জন।
পেশোয়ারের স্কুলে হামলার পর পাকিস্তান সেনা সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা বৃদ্ধি করলে পরের বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কমে আসে। তবে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা পুনরায় বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তানের অভিযোগ, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের শিথিলতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
এসএটিপি’র আগে ইসলামাবাদভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস) জানায়, ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংসতার হার ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার এই পুনরুত্থান দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।