
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের পর তিনি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন—এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
আসিফের ঘনিষ্ঠ তরুণদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে তার প্রভাব রয়েছে। আবার তার কয়েকজন বড়ভাই ও বন্ধু সক্রিয় গণঅধিকার পরিষদে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এই দুই দলের যেকোনো একটিতে যোগ দিতে পারেন। তবে বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানাননি।
বৃহস্পতিবার এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, “সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ একসময় আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এবং তার সঙ্গে আমাদের সখ্য রয়েছে। তিনি পদত্যাগের আগের দিনও আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গণঅধিকার পরিষদে আসার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক। তবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চান, তার যোগ্যতা ও মর্যাদা অনুযায়ী তাকে সম্মানিত করা হবে।”
রাশেদের ভাষায়, আসিফ গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন—বিশেষত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তার অবস্থান ছিল ‘নায়কের’। তিনি বলেন, “তিনি চাইলে যেকোনো দলে যোগ দিতে পারেন, এমনকি নতুন দলও গঠন করার স্বাধীনতা তার রয়েছে। আমাদের সঙ্গে তার সখ্য আছে, তাই গণঅধিকার পরিষদে এলেই তার জন্য ভালো হবে।”
জুলাইয়ের ঘটনাবলী স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, “আসিফ মাহমুদের জন্যই ৬ আগস্টের কর্মসূচি এগিয়ে ৫ আগস্ট করা হয়। তার সেই সাহসী সিদ্ধান্তেই স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটে। তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা দেখানো উচিত।”