
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভে নামেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন সংগঠন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে প্রতিবাদকারীরা দাবি করেছেন, হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হোক। তারা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনা ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদী ও ফ্যাসিস্ট শক্তি’ প্রভাবিত।
হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবেও পরিচিত।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায়, যখন হাদি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। দুই মোটরসাইকেল আরোহী তার ওপর গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত হাদিকে নিয়ে আসা মিসবাহ জানিয়েছেন, “জুমার নামাজ শেষে হাদি রিকশায় মতিঝিল–বিজয়নগর কালভার্ট এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখন দুই মোটরসাইকেল আরোহী এসে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। গুলিটি তার বাম কানের নিচে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, “হাদিকে যখন আনা হয়, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে সিপিআর দেওয়া হয়েছে। এখন রক্তচাপ কিছুটা স্থিতিশীল, তবে মাথার ভেতরে গুলি আছে এবং কানের আশপাশে আঘাত লেগেছে।”
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ওসমান হাদি বর্তমানে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছেন।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, “দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই দুষ্কৃতকারী হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।”