
দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আন্দোলন ও প্রতিবাদ করে আসছেন মুনতাসির মাহমুদ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভেতরকার অসঙ্গতি ও অনিয়ম নিয়েও বক্তব্য রাখেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমের বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পরিচালনা করেন।
এ ঘটনাপ্রবাহের পরবর্তী সময়ে দল থেকে মুনতাসিরকে বহিষ্কার করা হয়। এনসিপির প্রকাশিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সতর্ক করার পরও নির্দেশ অমান্যের কারণে তাকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রায় একই সময়ে রেড ক্রিসেন্টে উপপরিচালক পদও তিনি হারান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর ধারাবাহিক বিক্ষোভের কারণে তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পদচ্যুতি সত্ত্বেও মুনতাসির ছাত্র উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে নিয়মিত মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন।
গতকালকের পোস্টে তার পূর্ববর্তী অভিযোগ ও অবস্থানেরই প্রতিফলন পাওয়া গেছে।
মুনতাসির মাহমুদের ভাষায়, এই পদত্যাগ ড. ইউনূসের ওপর আরোপিত সকল সন্দেহ মুছে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার।
উপদেষ্টাদের পদত্যাগ নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা শুরু হলেও মুনতাসিরের বক্তব্য সেই বিতর্ককে আরও তীব্র করবে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষকরা।