
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “গুলি খেতে না চাইলে এবং অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে চাইলে এনসিপিতে আসুন। আমরা আপনাদের সন্মান দেব। যারা বিগত বছরগুলোতে অন্যায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। বিএনপি-জামায়াতে নিরাপত্তাহীন মনে হলে এনসিপি তাদের জন্য বিকল্প।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাঙামাটির প্রফেসর কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত এনসিপির তিন পার্বত্য জেলা — রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখন সময় এসেছে আওয়ামী লীগকে না বলার। এনসিপির অবস্থান যে স্থাপন করে, সেখানে বিএনপি ও জামায়াতও বাধ্য হয়ে আসবে। এনসিপির জন্ম রাজপথে। তাই ভবিষ্যতে যা কিছু ঘটুক, তা হবে রাজপথে। দেশের পরবর্তী নেতৃত্ব এনসিপি দেবে। আগামী দশ বছরে আমরা সরকার গঠন করব। যারা ব্যালটের বদলে বুলেটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, জনগণ তাদেরকে সঠিক সময়ে ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবে। মানুষ অস্ত্রের রাজনীতি, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতিতে ক্লান্ত। আগামী ভোট হবে মাফিয়া, চাঁদাবাজ ও বুলেটের বিরুদ্ধে।”
তিনি দেশের পুনর্গঠনের গুরুত্বেও গুরুত্বারোপ করে বলেন, “সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং জুলুমের প্রতি যারা অঙ্গীভূত হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা জোট গঠন করব না। এনসিপি নির্বাচনে সিট ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী নয়; আমরা বিশ্বাস করি রাষ্ট্র পুনর্গঠনে। কোনো টাকা, গুন্ডা বা পেশি শক্তি ছাড়া যদি আমরা পাচশ’ ভোটও পাই, সেটাই আমাদের বড় অর্জন। আমরা খেলতে আসিনি; পুরো খেলার নিয়ম পরিবর্তন করতে আসছি।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সমন্বয়কারী জুবাইরুল হাসান, বিভাগীয় সমন্বয়কারী এ এস এম সুজাউদ্দিন, পার্বত্য অঞ্চল তত্ত্বাধায়ক ইমন ছৈয়দ, শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক কলিন চাকমা, বান্দরবানের প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুর রহমান সোহেল এবং খাগড়াছড়ির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা। সভার সভাপতিত্ব করেন এনসিপি রাঙামাটি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী বিপিন জ্যোতি চাকমা।