বাহানা দিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন: সালাহউদ্দিন আহমদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:০১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আপনারা যখন এত আত্মবিশ্বাসী যে সরকারি দল হবেন, তাহলে নির্বাচনে আসেন না কেন? আজ এক অজুহাত, কাল আরেকটা, পরশু অন্য বাহানা দিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছেন কেন? উদ্দেশ্য আসলে কী, সেটা আমরা জানি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তার তৃতীয় সংলাপ মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে সংগঠন অপর্ণ আলোক সংঘ।
সালাহউদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভাগীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশ হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আজ পত্রিকায় দেখলাম কোথাও লেখা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে। প্রশ্ন হলো, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে কি না তা কি আপনারা ঠিক করবেন, নাকি জনগণ ঠিক করবে?
তিনি আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীকে আমি আহ্বান জানাই আসুন, আমরা কোনো সংকট তৈরি না করি। ফ্যাসিস্টবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, সেটাকে শক্তি হিসেবে ধরে রাখব। গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখলে তবেই সফল হওয়া সম্ভব।
ঐকমত্য কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে প্রচলিত বিধিবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। রাতারাতি কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়, সময় ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। একটি গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে আমরা যে জায়গায় এসেছি, সেখান থেকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব। শহীদদের প্রত্যাশা ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করব।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তিকে সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করেন না তিনি। তার ভাষায়, ছাত্র প্রতিনিধি সরকারের অংশ হওয়া উচিত হয়নি। তারা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে জাতির নির্দেশক হতে পারত। কিন্তু এখন সরকারের অংশ হয়ে প্রতিদিন দায়ভার নিতে হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদ-এর মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, তিনি একবার স্পিকারকে বলেছিলেন আপনি বলে দিন আমি সরকারি দল নাকি বিরোধী দল। ভবিষ্যতে যেন এমন সংস্কৃতি তৈরি না হয়।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, আলোচনা টেবিলে চলার সময় মাঠে আন্দোলন করা স্ববিরোধী আচরণ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, অনেকে বলছে এ সরকার পুরোপুরি সাংবিধানিক নয়, আবার বলছে এটা বিপ্লবী সরকারও নয় এটা মাঝামাঝি। প্রশ্ন হলো, এক বছর পর এসে কেন এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? এর পেছনে উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এমন প্রশ্নে যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়, তাহলে লাভবান হবে পতিত স্বৈরাচারসহ অসাংবিধানিক শক্তিগুলো।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা কেন রাষ্ট্রকে সংকটে ঠেলে দিতে চাই?