আমরা কি জুলাই আন্দোলনে ললিপপ খাচ্ছিলাম: রিজভী
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
.jpg)
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার ভাষায়, ভয়ংকর রক্তপিপাসু শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করার অবদান তারেক রহমানের। তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পটভূমি রচনার প্রধান নায়ক। আমরা কি জুলাই আন্দোলনে ললিপপ খাচ্ছিলাম? এতে সর্বস্তরের মানুষের অবদান বা সহযোগিতা রয়েছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুরে তিনি শহরের ডিসি পার্ক করতোয়া নদীতে জেলা মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচার খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ ভারতপন্থি। বিএনপি বাংলাদেশপন্থি রাজনৈতিক দল। আমাদেরকে ভারতপন্থি ট্যাগ দেবেন না। একটি গোষ্ঠী নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ট্যাগিং, সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক। নতুন করে যতই চক্রান্ত হোক, ব্যর্থ হবেই। জনগণের শক্তির কাছে কোনও ষড়যন্ত্রই টিকবে না।
গণতন্ত্রবিরোধীরা সবসময় জাতীয়তাবাদী শক্তিকেই টার্গেট করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি কখনো বিদেশি প্রভুর তাঁবেদারি করে না। বরং একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধ করতে চাইছে।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্রদল হলো আন্দোলন, সংগ্রাম ও নীতি-আদর্শের দল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যদি অবাধভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে ছাত্রদলের প্যানেলই জয়ী হবে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম মাহবুবুর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। এছাড়া দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজ ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. নূর হাবীব ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, একেএম তৌহিদুল আলম মামুন, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ময়নুল হক বকুল, সদস্য সচিব খলিলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ প্রমুখ।