ড. ইউনূস সিজদা দিয়ে লন্ডনে সরকারকে বেঁচে দিয়েছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩২ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর যিনি সরকারপ্রধান হয়েছেন, তিনি লন্ডনে গিয়ে সিজদা দিয়ে এসেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও কি এমন উদাহরণ আছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান কোনো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন? তার দাবি, সেদিনই লন্ডনে সরকারকে ‘বিক্রি’ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বক্তব্য দেন।
হাসনাত বলেন, “আজকের মিডিয়া বেশিরভাগই রাজনৈতিক দলের পক্ষে।” তিনি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার অভিযোগ, সচিবালয়ে অফিস শেষ হয় বিকেল ৫টায়, কিন্তু অনেকে ৪টার দিকেই গুলশান বা পল্টনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আগে এ দৃশ্য দেখা যেত ধানমন্ডি ৩২ বা গুলিস্তানে।
বিএনপি ঘরানার রাজনীতিতে এনসিপির প্রতি বৈরিতা থাকলেও তা রাজনৈতিক বাস্তবতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার মূল কারণগুলো সমাধান না করে যদি কেউ মনে করেন নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়া সম্ভব, তবে তিনি আবারও গণপ্রতিরোধের মুখে পড়বেন।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, একজন রাজনীতিক বলেছেন আমরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারেন আমরা কারও কাছ থেকে অর্থ নিয়েছি, তাহলে আমি ও আমার সহযোদ্ধারা রাজনীতি ছেড়ে দেব।
আগামী নির্বাচন নিয়েও স্পষ্ট অবস্থান জানান এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নই। সেটা নভেম্বর, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হোক আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ‘রুলস অব দ্য গেম’ পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে।
সংবিধান প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, পুরোনো সংবিধান আসলে ফ্যাসিবাদের পাঠ্যবই। নতুন সংবিধান সময়ের দাবি। কেউ যদি মনে করেন নতুন দলকে উঠতে দেওয়া হবে না, তবে জেনে রাখুন আমাদের আসন কিনে নেওয়া যাবে না, আমরা বিক্রি হই না।