দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, সেজন্যই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে: মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:০৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাসহ সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সম্প্রতি যেসব নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, বিশেষ করে পুরান ঢাকায় যেভাবে একজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা আমাদের সবাইকে নাড়া দিয়েছে। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে এসব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনুন। তা না হলে জাতি এই অন্যায়ের দায় সরকারকেই দেবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, আর সেজন্যই এই ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। “নির্বাচন না থাকায় রাষ্ট্রে জবাবদিহির অভাব তৈরি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নিচ্ছে। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা সবসময়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। তাই যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আহত বা শহীদ হয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা আছে। সেই আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
তিনি ছাত্রদলকে আহ্বান জানান শহীদদের নিয়ে একটি প্রামাণ্যগ্রন্থ বা পুস্তক প্রকাশের জন্য। সেইসঙ্গে বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এসব শহীদদের যথাযথ মর্যাদা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবে।
আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। শহীদ পরিবারের সদস্যরাও সেখানে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।