রুহুল কবির রিজভী
জুলাই সনদকে মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা 'বিভ্রান্তিমূলক'
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:৫০ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৫

জুলাই সনদকে সংবিধানের মূলনীতির অংশ করার দাবি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা, যা জনমনে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুসের রোগমুক্তি কামনায় দুস্থদের মাঝে জায়নামাজ বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, “জুলাই সনদের অনেক বিষয় বিএনপি ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে। তবে এটিকে সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিটি অপ্রয়োজনীয় এবং বিভ্রান্তিকর। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি কোনো স্থির বা চূড়ান্ত বিষয় নয়। বিশ্বের অনেক দেশে বিভিন্ন সময় নতুন সংস্কার এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি কখনো সংস্কারের বিপক্ষে কথা বলেনি, বরং সংস্কারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তবে একে মূলনীতির অংশ বানানোর প্রচার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হোক সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে প্রকৃত দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে জনগণ কাউকে ছাড় দেবে না।”
তিনি দাবি করেন, “দেশে বহু গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। যদি মানুষ খাদ্য কিনতে না পারে, তাহলে দুর্ভিক্ষের আলামত প্রকট হবে। এই অবস্থায় আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি।”
রিজভী আরও বলেন, “বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক জবাবদিহির বাইরে চলে গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেটি গঠিত হয়েছে, সেটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সমর্থনে এসেছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বেও আমাদের সমর্থন রয়েছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “গণতন্ত্র নিয়ে যদি খেলাধুলা চলতে থাকে, শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য শিশুসুলভ দাবি নিয়ে বসে থাকেন, তবে জনগণ কাউকে রেহাই দেবে না। এতে প্রকৃত গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে এবং দেশে দীর্ঘস্থায়ী অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটবে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।