প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যে যারা লুটপাট করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক: দুদু


April 2025/Dudu lotpat.jpg

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘গতকাল সারাবিশ্ব ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশও ঘৃণা প্রকাশ করেছে। আমাদের দেশের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যেও কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের তথাকথিত অভিযোগের নামে আক্রমণ এবং লুটপাট করেছে। এটা ঘৃণ্য ব্যাপার। এটা সমর্থনযোগ্য নয়। যারা এটা করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক।’

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’র উদ্যোগে আয়োজিত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, ‘বাঙালি জাতি, মুসলিম জাতি ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা প্রত্যাশা করি, তারা কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে নীরবতা পালন করছে। আমার মনে হয় এটা পরিহার করে সারা বিশ্বের সঙ্গে এই মানবতার সপক্ষে আমাদের দাঁড়াতে হবে। এই মানবতার রক্ষা যদি আমরা না করতে পারি, তাহলে ইসলামকে রক্ষা করা, হযরত মোহাম্মদ (স.) এর প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা সেটাও প্রশ্নের মধ্যে পড়ে যাবে।’

‘জাতিসংঘের মানবতা সনদের স্বাক্ষরকারী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো মানবতাবিরোধী দেশ, জাতি, গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান থাকবে। আমরা সশস্ত্র সংগ্রাম এবং লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মাতৃভূমি পেয়েছি। ৭১ সালে আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা করেছিল পাকিস্তান। আমাদের বিরুদ্ধে তারা নির্মম নির্যাতন করেছিল। গণহত্যা কি সেটা বাঙালি জাতি জানে। গণহত্যা কত নির্মম ও ভয়ঙ্কর সেটা জাতি ও দেশ হিসেবে আমরা জানি।’

‘এমনকি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি, তৎকালীন গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী দাবিদার শেখ হাসিনা কীভাবে মানবতাবিরোধী ভূমিকা নিয়েছিলেন। একটা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার রক্ত যখন রাজপথে রঞ্জিত হয়েছে, তখন তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছে। সে কারণে যেকোনো দেশের গণহত্যা বিরোধী ভূমিকায় বাঙালি জাতি, বাংলাদেশিরা তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করে।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার যখন ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, তখন বিশ্বের মানুষ কিন্তু সেই ইহুদি হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করেছিল। তখন মানবতার প্রশ্নে বিরোধিতা করা হয়েছে। এমনকি মুসলমানরাও তখন হিটলারের সেই হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করেছিল। সেই ইহুদিরা অন্য কোনো জাতির বিরুদ্ধে এমন নৃশংস হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যে জায়গা এখন ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, সেটিও ফিলিস্তিনিদের ভূমি ছিল। ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু, নারী এবং সাধারণ মানুষের যে ভয়ঙ্কর পরিণতি, সেটা কোনোভাবেই কেউ মানতে পারে না।’

দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, সাবেক এমপি শামীম কায়সার লিংকন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার ও জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×