কুয়েটের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার


কুয়েটের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েটে) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র (রামদা) হাতে অবস্থান নেওয়ায় দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতির পদ থেকে মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

এদিকে, খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে। মাহবুব বর্তমানে যুবদলের কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। কুয়েট এলাকায় অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সেখানে সংগঠনের কোনো বিষয় ছিল না।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এক পক্ষ প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে। পরে নগরের রেলগেট, তেলিগাতিসহ আশ-পাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিবিরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফ হাতা শার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিটি যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন। 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×