সেফ এক্সিট প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:২৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট প্রসঙ্গে চলমান আলোচনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “অনেকে বলতে পারেন, প্রশ্ন তো আর থামানো যায় না।”
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ঢাকার আশুলিয়ায় বোধিজ্ঞান কেন্দ্র (বৌদ্ধ বিহার) আয়োজিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগের তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত, এবং সরকার আগামী দিনগুলোতে এ খাতে আরও অগ্রগতি আনতে চায়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকারের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, “অসুরের মুখে যারা দাঁড়ি লাগিয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি যোগ করেন, কঠিন চীবর দান উপলক্ষে দেশের সব বৌদ্ধ বিহারে শান্তিপূর্ণ আয়োজন নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, তার জ্ঞান, দর্শন, ধর্মীয় চর্চা ও শিক্ষাকে আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশে তার নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সন্তান হিসাবে মনীষী অতীশ দীপঙ্করের কীর্তি ও বিশ্বব্যাপী খ্যাতিতে আমরা গর্বিত।”
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশে কোনো ধর্মীয় বিভেদ নেই। সবাই শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানে থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছে।” তবে তিনি অভিযোগ করেন, “কিন্তু আমাদের দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা সবসময় বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দয়াল কুমার বড়ুয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যবসায়ী শুভাশীষ চাকমা ও কর্নেল দিদারুল আলম।