ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কে পৌঁছালেন শহিদুল আলম
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৫১ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলম। আজ তিনি তুরস্কের মাটিতে পা রেখেছেন, যার মাধ্যমে শেষ হলো এক নাটকীয় ও উদ্বেগজনক অধ্যায়।
গত ৮ অক্টোবর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’র ‘কনশানস’ নামের জাহাজে করে গাজা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন শহিদুল আলম। সেই সময় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জাহাজটি থামিয়ে তাকেসহ আরও সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী ও নাবিকদের অপহরণ করে নিয়ে যায় আশদোদ বন্দরে। পরে আইনি প্রক্রিয়ার নামে তাঁদের সবাইকে পাঠানো হয় দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত berখ্যাত কেৎজিয়েত কারাগারে, যা দেশটির সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
সেখানেই আটক ছিলেন শহিদুল আলম। অবশেষে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি আজ ইসরায়েল থেকে তুরস্কগামী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK 6921 ফ্লাইটে করে ইস্তাম্বুল পৌঁছান। তার এই মুক্তি এবং তুরস্কে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস।
তুরস্কে পৌঁছানোর পর ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমকে স্বাগত জানিয়েছেন ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।’
শহিদুলের মুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তার সহায়তায় এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
শহিদুল আলমের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন।