আমরা জাতি হিসেবে ব্যর্থ হতে চাই না: প্রধান উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৩৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ জাতি হতে দেওয়া যাবে না। তরুণদের ত্যাগ-তিতিক্ষা যেন বিফল না হয়, সেজন্য সমান সুযোগ ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন এখন সময়ের দাবি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা ২৪ জুলাই যে অসাধ্য সাধন করেছে, তার লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া। এখানে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে, যে ঘরেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সবাই সমান সুযোগ পাবে। তারা বন্দি বা পালিয়ে থাকার জন্য জন্মায়নি, বরং পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার শক্তি নিয়েই জন্মেছে।
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান দেশের দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রা শুরু করেছে। তবে তা সফল করতে হলে ধর্ম-বর্ণের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, দুর্গাপূজার কাঠামোতেই ঐক্যের বার্তা আছে জ্ঞান, সম্পদ, শক্তি ও বীরত্ব একসঙ্গে মিলেই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে। আমাদেরও সেই শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জাতিকে এক অটুট পরিবারের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, মতভেদ থাকলেও পরিবারের মতো ঐক্য অটুট রাখতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সবার প্রতি সমান মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা। এ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমার প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না। রাষ্ট্র ইতিমধ্যেই সংবিধানে আমার অধিকার তালিকাভুক্ত করেছে। এটা এদিক-ওদিক করার সুযোগ নেই।
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই নাগরিক। সংবিধানে বর্ণিত নাগরিক অধিকারগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এ অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়েই দেশের প্রতিটি মানুষ একই লক্ষ্য ও স্বপ্নে ঐক্যবদ্ধ হবে।
ধর্ম পালনে স্বাধীনতার নিশ্চয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীতে থেকে ধর্ম পালন করা কোনো স্বাধীনতার চিত্র নয়। তিনি মন্তব্য করেন, এটা কোনো দেশের চেহারা হতে পারে না। আমরা চাই, নিরাপদ ও বিশ্বাসের পরিবেশে প্রত্যেকে তার ধর্ম পালন করুক। এর জন্যই এত রক্তপাত হয়েছে, আর নয়।