মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বাণী: শান্তি ও কল্যাণের দিশা মহানবীর আদর্শে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:৩৬ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার সর্বোত্তম পথ হলো মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহকে অনুসরণ করা।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য নিহিত রয়েছে অফুরন্ত শান্তি, সাফল্য ও কল্যাণ।”
বিশ্বের সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ পবিত্রতা বহন করে উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন—অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির জন্য প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)। নবী করিম (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন আলোকোজ্জ্বল প্রদীপের মতো, যিনি মানুষকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করে সত্য, শান্তি ও প্রগতির পথে আহ্বান জানিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য, অনন্য চরিত্র, সীমাহীন দয়া ও মহৎ গুণাবলির কারণে পবিত্র কুরআনে মহানবীর জীবনকে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষা ও আদর্শ প্রতিটি যুগে মানবতার মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।”
মিলাদুন্নবীর এই মহিমান্বিত দিনে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুদৃঢ় হোক—এ কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মহানবী (সা.)-এর আদর্শ ধারণ ও অনুসরণের মধ্য দিয়েই আমাদের ইহকাল ও পরকালের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি নিশ্চিত হতে পারে। আমিন।”