‘মব ভায়োলেন্স’ থামাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:১৬ এম, ৩০ আগস্ট ২০২৫

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা চাওয়ার পর সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকাতে সেনারা বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল অতিক্রমের সময় দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৮টার দিকে কাকরাইল এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বহু মানুষ আহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সংস্থাটি জানায়, প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করে। কিন্তু সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে তারা সেনাবাহিনীর সহায়তা চায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর সংগঠিতভাবে হামলা চালানো হয় এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও কিছু নেতাকর্মী উল্টো মব ভায়োলেন্সে জড়িয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল নিয়ে সহিংসতা আরও বাড়ানো হয়, ইট-পাটকেল ছোড়া হয় এবং আশপাশের স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চলে।
আইএসপিআর জানায়, এই পরিস্থিতিতে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, “সব ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এ অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত।”