
স্পষ্ট অবস্থান নিয়েই ইরানকে সমর্থন করেছি: রাশিয়া
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে নিজেদের ‘স্পষ্ট অবস্থানের’ কথা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছে, ইরানকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। রাশিয়া ইরানকে যথেষ্ট সমর্থন করছে না বলে সমালোচনা করেছিলেন কয়েকজন বিশ্লেষক। তার জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘‘অনেকে আগুনে পেট্রল ঢেলে মস্কো ও তেহরানের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’’ তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের সময় মস্কোর ভূমিকাকে ‘‘অত্যন্ত মূল্যবান’’ বলে অভিহিত করেছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরানের ওপর চালানো মার্কিন হামলার নিন্দা জানানোয় ভ্লাদিমির পুতিনকেও ধন্যবাদ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া সঠিক পক্ষের পাশে রয়েছে।’’ ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে। এর আগে, সোমবার মস্কোতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলাকে ‘বিনা উসকানিতে আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেন। এই সংঘাতে মস্কো ইরানি জনগণকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হামলার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে মস্কো সফরে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সোমবার সকালে তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তেহরানে চালানো ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘‘বিনা উসকানির আগ্রাসন’’ বলে আখ্যায়িত করেন পুতিন। পুতিন বলেন, ‘‘এটি ইরানের বিরুদ্ধে একেবারে বিনা উসকানিতে আগ্রাসন।’’ তিনি এই হামলাকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও উল্লেখ করেন। সূত্র: বিবিসি।

‘গঠনমূলক ভূমিকা’ রাখায় কাতারকে ধন্যবাদ জানাল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তামূলক ভূমিকা পালন করায় কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি এক টেলিফোন কলে কাতারের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আল-খুলাইফিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইরানের সংবাদমাধ্যম ইয়াং জার্নালিস্ট ক্লাবের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা রোধে সহায়তা করার জন্য কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি। টেলিফোনে আলোচনার সময় মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি কাতারের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলআজিজ আল-খুলাইফিকে দেশটির ‘‘গঠনমূলক ভূমিকার’’ জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পরস্পরের সর্বোচ্চ স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার এবং বিস্তৃত করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর ইরান। কাতারের আল-উদেইদে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঘিরে যখন ওই অঞ্চলে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তখন কাতারের গঠনমূলক ভূমিকার জন্য দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাল ইরান। এর আগে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে সোমবার কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। পরে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানায় কাতার। একই সঙ্গে এই হামলার প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার দোহায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে কাতার। সূত্র: আল জাজিরা।

তেহরানে ‘তীব্র হামলার’ নির্দেশ দিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে তেহরানের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে ‘তীব্র হামলা’ চালিয়ে কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলিদের বেরিয়ে আসা নিরাপদ বলে জানানোর কিছুক্ষণ পরেই এই নির্দেশ দেওয়া হলো। এর আগে, ইরান থেকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইসরায়েল কাটজ। এরপরই তিনি যুদ্ধবিরতির শর্ত ভাঙায় তেহরানকে কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। এদিকে, টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরান দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং দুটিই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে কোনো হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, তাহলেই ইরান প্রতিক্রিয়া বা পাল্টা হামলা বন্ধ রাখবে’। অর্থাৎ, ইরান যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শর্তসাপেক্ষে। সূত্র : আলজাজিরা

ইরানের আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৯, আহত ৩৩
ইরানের উত্তর-পশ্চিমে গিলান প্রদেশের আবাসিক এলাকায় ইরসায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ জনের মতো বেসামরিক নাগরিক। আঞ্চলিক গভর্নরের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামলায় আশেপাশের অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩৩ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচজনের হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন। আহতদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও শিশু থাকার তথ্যও জানানো হয়েছে। এদিকে, টানা ১২ দিনের সংঘাতের পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে জানিয়ে তা লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখন থেকে কার্যকর হয়েছে, অনুগ্রহ করে কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না।’

‘ইরানে ব্যাপক সাফল্যের’ পর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছি: ইসরায়েল
“ইরানে ব্যাপক সাফল্যের” পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। এমনটাই জানানো হয়েছে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করা হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরানে প্রায় দুই সপ্তাহের ধারাবাহিক হামলায় লক্ষ্য পূরণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে তারা। এটাই ছিল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য। বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েল পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র—দুই দিক থেকেই ইরানের তাৎক্ষণিক ও অস্তিত্বগত হুমকি নির্মূল করেছে।” ইসরায়েল আরও দাবি করে, “আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) এখন তেহরানের আকাশে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, ইরানি সামরিক নেতৃত্বকে ভয়াবহভাবে দুর্বল করেছে এবং ইরানের ভেতরে সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।” ইসরায়েল তাদের এই অভিযানে সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, “ইরানের পারমাণবিক হুমকি নির্মূলে সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” ইরানকে সতর্ক করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুদ্ধবিরতির যেকোনো লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”

যুদ্ধবিরতির জন্য ‘মিনতি করছেন’ ট্রাম্প, ইরানের দাবি
যুদ্ধবিরতির জন্য ‘মিনতি করছেন’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইএনএন-এ এই দাবি করা হচ্ছে। কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের সফল হামলার পর ইসরায়েলের ওপর জোর করে যুদ্ধবিরতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্প্রচারমাধ্যমটি জানায়। এর আগে ইরান ও ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বিষয়ে দুই দেশই চুপ। চ্যানেলটির এক ঘোষণায় বলা হয়, হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে ‘মিনতি’ করেন ইরানকে। এ কথা সরাসরি সম্প্রচারে পড়ে শোনান উপস্থাপক। আরও বলা হয়, ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দেশের সম্মান রক্ষায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। একই সঙ্গে ইরানি জনগণের প্রতিরোধের প্রশংসা করা হয়। ইরানি টিভির এই দাবি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে ইরান। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে এ পরিস্থিতির মধ্যে আবারও যুদ্ধবিরতির প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সকাল থেকে কার্যকরের ঘোষণা করা ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমাদের বি-২ বোমারু বিমানের পাইলটদের এবং সেই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতিভা-সাহস ছাড়া আমরা আজকের ‘চুক্তি’ করতে পারতাম না। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বোমা হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, একটি নির্দিষ্ট এবং অত্যন্ত বিদ্রূপাত্মক উপায়ে সন্ধ্যার শেষের দিকে সেই নিখুঁত ‘আঘাত’ সব পক্ষকে একত্রে বৈঠকে বসায় এবং চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। যখন ইরান ইসরায়েলের দিকে বারবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে তখন ট্রাম্প এ বিবৃতিটি পোস্ট করেছেন। তবে তার পোস্টে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য নেই।
.png)
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলল ইরানি সংবাদ সংস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে খবর প্রকাশ করেছে ইরানি সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স নিউজ এজেন্সি’। খবর বিবিসির। নাম প্রকাশ না করে একটি সূত্র ফার্সকে জানিয়েছে, ইরান এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পায়নি এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে ঘোষণাটি মিথ্যা বলে প্রমাণ করবে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দোহায় মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর নিজেদের ‘অপমান’ থেকে ‘মানুষের দৃষ্টি’ সরাতে এই ঘোষণাটি আমেরিকার একটি প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত, সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ এজেন্সি ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কোর বা আইআরজিসির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর আগে হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি এবং কখনও হবেও না। ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন। তার এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তেহরানের ঘনবসতিপূর্ণ সেভেনথ ডিস্ট্রিক্ট এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েল। এরপর সেখানে বিমান হামলার কথা জানা গেছে। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলির কিছু এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার সকালে সেসব এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে রাতভর ইরানের ছয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এসব সতর্কতা অব্যাহত ছিল। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে একাধিকবার বিমান হামলার সাইরেন বাজে, যখন ইরান থেকে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিয়ার শেভায় এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। রাতভর এবং সকালে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষকে একাধিকবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছু এলাকায় সাইরেন বন্ধ হওয়ার পর বাসিন্দারা যখন বাংকার থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন আবার সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং তাদের দ্রুত ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাগুলো ঘটে এমন সময়ে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি সংবেদনশীল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ইরানের এই আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল এখনো পূর্ণ মাত্রায় প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি বজায় রেখেছে। সূত্র : সিএনএন

রাশিয়ার মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল মার্কিন দূতাবাস
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশে মধ্যরাতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় শক্তিশালী ড্রোন-মিসাইল ব্যবহার করে মস্কো। সোমবার (২৩ জুন) গভীর রাতে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান। রাতের হামলায় এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। আবাসিক এলাকায় আগুন লেগে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রো স্টেশন ও বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের প্রবেশপথ। মার্কিন দূতাবাস থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরে কিয়েভের ব্যস্ত শেভচেনকিভস্কি জেলার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে হামলা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। সেখান থেকে উদ্ধারকর্মীরা মৃতদেহ উদ্ধার করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেলায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ৩৩ বছর বয়সী ভ্যালেরি মানকুতা বর্ণনা করেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পর তিনি তার জানালা দিয়ে তৃতীয় তলায় লাফিয়ে পড়েন। কীভাবে বেঁচে গেছি জানি না। ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছিল। রয়টার্স ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছে। হামলার পর সেসবের ছবি তুলে রেখেছেন সাংবাদিকরা। নির্মাণশ্রমিক মানকুতা বলেন, আমার গায়ে ইট ভেঙে পড়ে। আমার মুখে বালু ঢুকে যায়। এটা সম্পূর্ণ নরক ছিল। আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ি। সেখান থেকে কোনো মতে বের হই। কিয়েভের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, কিয়েভে হামলায় চার শিশুসহ কমপক্ষে ৩৪ জন আহত হয়েছে। মধ্যরাত থেকে প্রায় ভোর পর্যন্ত হামলা চলে। শহরটি বিস্ফোরণ এবং ড্রোনগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান বিধ্বংসী ইউনিটের মেশিনগানের গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে আক্রমণ হয়েছে। রাশিয়ার ৩৫২টি ড্রোনের মধ্যে ৩৩৯টি এবং ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৫টি ভূপাতিত করেছে তারা। সোমবারের হামলাগুলো হেগে ন্যাটোর বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন আগে ঘটল। এ সম্মেলনে সাহায্যপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করতে ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রিটেন সফর করছেন। ইউক্রেন দাবি করেছে, রুশ বাহিনী ইচ্ছেকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করছে। মধ্যরাতের হামলাও এর একটি উদাহরণ। তবে রাশিয়া সর্বশেষ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

কাতারের আকাশসীমা খুলে দেওয়া হয়েছে
ইরানের হামলার কারণে স্বল্প সময়ের জন্য আকাশসীমা বন্ধের পর আবার তা খুলে দিয়েছে কাতার। সোমবার (২৩ জুন) রাতে দেশটির রাজধানী দোহার অদূরে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ওই সময় নিরাপত্তার জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় দেশটি। কাতার জানিয়েছে, ইরান ঘাঁটি লক্ষ্য করে মোট ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যারমধ্যে ১৮টি তারা ভূপাতিত করেছে। তবে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে গিয়ে আঘাত করেছে। যদিও এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কাতারের আগে কুয়েত এবং বাহরাইনও নিজেদের আকাশসীমা খুলে দেয়। এতে করে দেশগুলোতে খুব কম সময়ের মধ্যে আবারও বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে। সূত্র: আলজাজিরা

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ জুন) নিহতদের মধ্যে ২০ জন ত্রাণপ্রার্থীও ছিলেন, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান এই আগ্রাসনে নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার নিহত ৪৩ জনের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ এই ফাইন্ডেশনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

কাতারে ইরানি হামলার তীব্র নিন্দা আরব আমিরাতের
কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম এক বিবৃতিতে জানায়, আমিরাত কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমিরাত কাতার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে এমন যেকোনো হামলার ঘোর বিরোধিতা করে। এই অবস্থান স্পষ্ট করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবেশী দেশগুলো একে অপরের আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে একাত্মতা প্রকাশ করছে। এর আগে সৌদি আরব এবং কাতারও ইরানের হামলার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আল-উদেইদ ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, যেখানে মার্কিন ও কাতারি সেনারা যৌথভাবে অবস্থান করছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলে ইরানের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগ। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের বিয়ার শেভা শহরে একটি আবাসিক ভবনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর আগে, দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগ ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, হামলায় ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ৩০ বছর বয়সী একজন নারী এবং ২০ বছর বয়সী এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় আরো ছয়জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এমডিএ’র এক মুখপাত্র। এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করেছে এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্র : সিএনএন

ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান
ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান। এ খবর জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। আইডিএফ জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা শনাক্ত করেছে। খবর আল জাজিরার। আইডিএফ আরও জানায়, তেল আবিবের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে সতর্ক বার্তা পেলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইরান বলেছে, ইসরায়েল ‘অবৈধ আগ্রাসন’ বন্ধ করলে তারা আক্রমণ বন্ধ করবে।

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখনো হয়নি, ইসরাইল হামলা বন্ধ করলে তবে ইরানও বন্ধ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি। মঙ্গলবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, দখলদার ইসরাইল যদি তাদের ‘অবৈধ হামলা বন্ধ করে’ তাহলে ‘ইরানেরও আর হামলা চালাবে না’। তিনি দখলদারদের ইরানি সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোর ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। আরাঘচি জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে হামলা বন্ধ করতে হবে। তবে এ সময় ইতোমধ্যে পার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইরান যেমনটা বারবার স্পষ্ট করেছে- ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে, ইরান করেনি। এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো চুক্তি এবং হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু যদি বেধে দেওয়া সময় ভোর ৪টার মধ্যে ইরানের মানুষের ওপর ইসরাইলের অবৈধ হামলা বন্ধ হয়। তাহলে এরপর তেহরানের আর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। আমাদের সামরিক হামলা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।

ইরাকের ৩ সামরিক ঘাঁটি ও বাগদাদ বিমানবন্দরের পাশে হামলা
ইরাকের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরান ও ইসরাইলের সংঘাতের মধ্যে দেশটির ইমাম আলী, বালাদ ও তাজি সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলার খবরও পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। আল সুমারিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের ধি কার প্রদেশে অবস্থিত ইমাম আলী সামরিক ঘাঁটির রাডার সিস্টেম হামলা চালানো হয়েছে। ঘাঁটিটি প্রাদেশিক রাজধানী নাসিরিয়া শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। কে এই হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। এছাড়া রাজধানী বাগদাদের উত্তরে সালাহউদ্দিন প্রদেশে অবস্থিত বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে বলে কুর্দিস্তান২৪ চ্যানেল জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইরানের তাসনিম বার্তাসংস্থা জানায়, ঘাঁটির ভেতরে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একসময় এটি ছিল ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘাঁটি।

এবার ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জুন) সন্ধায় এই হামলা হয়। একই সময় কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস নিউজ জানায়, কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। খবরে বলা হয়, এই ঘাঁটি লক্ষ করে অন্তত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এছাড়া এক্সিওস নিউজ এজেন্সির বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অ্যারাবিক নিউজও মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার খবরটি প্রকাশ করেছে। কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘বিশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আবদুল্লাহ’ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে ইরান: সাঈদ খতিবজাদে
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে বলেছেন, যত দিন প্রয়োজন, তত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত ইরান। ইসরায়েলের অবৈধ আগ্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইরান এ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। খতিবজাদে আরও বলেন, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ‘অন্যায়’ ও ‘উসকানিমূলক’ হামলা প্রতিরোধে ইরান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’ নিজের দেশকে রক্ষা করতে কত দূর যেতে পারে, তার উদাহরণ হিসেবে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাক-ইরান যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেন খতিবজাদে। তিনি বলেন, ‘আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার এমন ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাঈদ খতিবজাদে বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায়, তবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য দোজখে পরিণত হবে। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে বলেছেন, যত দিন প্রয়োজন, তত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত ইরান। ইসরায়েলের অবৈধ আগ্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইরান এ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জুন) দেশটির রাজধানী দোহায় অবস্থিত ঘাঁটিতে এই হামলা হয়। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস নিউজ এজেন্সি এই খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এছাড়া এক্সিওস নিউজ এজেন্সির বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অ্যারাবিক নিউজও কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার খবরটি প্রকাশ করেছে।

অনির্দিষ্টকালের জন্য কাতারের আকাশপথ বন্ধ
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আকাশপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় কাতার সরকার আকাশপথ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটির সিভিল এভিয়েশনের এক সার্কুলারে আকাশপথ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে কাতারের দোহা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং কাতার এয়ারওয়েজ নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে।

ইরানের পক্ষে পুতিনের বক্তব্যের পরই এরদোয়ানের হুঙ্কার
ইরানে যেই আক্রমণ করুক তা সহ্য করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, আঙ্কারা কখনোই ইরানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কোনো হামলাকে সমর্থন করে না। হামলা যে পক্ষ থেকেই আসুক, তুরস্ক তার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। সোমবার (২৩ জুন) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে ইরানে যে হামলা চালানো হচ্ছে, সেটি থেকে বড় ধরনের বিপর্যয়ে ঠেকাতে জোরাল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। চলমান সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম এরদোয়ান এমন কড়া বার্তা দিলেন। এর আগে ইরানের পক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইরানের ওপর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা একেবারেই বিনা উসকানিতে চালানো আগ্রাসন। এর কোনো যৌক্তিকতা বা আইনি ভিত্তি নেই।’ পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া ইরানি জনগণের পাশে আছে এবং তাদের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে বর্তমানে ক্রেমলিনে অবস্থান করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। রোববার রাশিয়া পৌঁছান তিনি। আজ সোমবার পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। বৈঠকে পুতিন আরাগচিকে বলেন, আপনার উপস্থিতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সংকটময় সময়ে আমাদের একসঙ্গে বসে চিন্তা করতে হবে কীভাবে উত্তরণের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। উত্তরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে আরাগচি বলেন, ‘রাশিয়া আজ ইতিহাসের সঠিক পক্ষে রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান রুশ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নানামুখী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

ইরানের হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে: যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না এবং যুক্তরাষ্ট্র সেই হুমকি দূর করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। মি. ল্যামি যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত হামলার পুনরাবৃত্তি করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, “ ব্রিটেন হামলায় জড়িত ছিল না। যেমন ব্রিটেন ইসরায়েলের অভিযানেও জড়িত ছিল না।” তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন “ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না এবং যুক্তরাষ্ট্র সেই হুমকি দূর করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।” মি. ল্যামি জানিয়েছেন ইসরায়েলে সংঘাতের সময় একজন ব্রিটিশ নাগরিক আহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্য চলমান পরিস্থিতির প্রতি দ্রুত সাড়া দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ব্রিটিশ বেসামরিক নাগরিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তাই অগ্রাধিকার।” তেল আভিভে ব্রিটিশ দূতাবাস এবং জেরুজালেমে ব্রিটিশ কনস্যুলেট খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি। একইসাথে ৬৩ জন ব্রিটিশ নাগরিককে সাইপ্রাসে সরিয়ে নেওয়ার জন্য রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি বিমান তেল আভিভে গেছে। পরে তাদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। মি. ল্যামি আরও জানান ইরানে লোকজনকে সহায়তা করা কঠিন কারণ আকাশপথ এখনও বন্ধ রয়েছে এবং ইন্টারনেট প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সূত্রঃ বিবসি

তেলের দাম নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, বিশ্ববাজারে কমলো তেলের দাম
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন করে অস্থিরতার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৩ জুন) ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “তেলের দাম কমান, আমি নজর রাখছি! আপনারা শত্রুর হাতের খেলনা হয়ে যাচ্ছেন, এটা করা চলবে না।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৫ সেন্ট বা ১.০২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭৩.০৯ ডলারে। একইভাবে, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৩ সেন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ কমে ৭৬.২৮ ডলারে নেমে আসে। এর আগে, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ইরান পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে টার্গেট করতে পারে। এর ফলে তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে পারত। ট্রাম্প সরাসরি কোনো পক্ষের নাম উল্লেখ না করলেও বিশ্লেষকদের মতে, তার সতর্কবার্তাটি মূলত মার্কিন তেল উৎপাদকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সংকটকে পুঁজি করে অস্বাভাবিক হারে মূল্য না বাড়ায়। সূত্র: সিএনবিসি নিউজ

পুতিনকে খামেনির চিঠি, চান রাশিয়ার সহায়তা: রয়টার্স
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সোমবার (২৩ জুন) ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একটি চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কথা। সেই চিঠিতে ইরানের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন চাওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছে ইরানের এক শীর্ষ সূত্র। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর শনিবার (২১ জুন) ইরানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল প্রকাশ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা ও সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন। রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। রয়টার্সকে দেওয়া বক্তব্যে ইরানের সূত্রগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সমর্থনে তেহরান সন্তুষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাশিয়ার কাছ থেকে আরও জোরালো সমর্থন প্রত্যাশা করছে তেহরান। তবে ইরান ঠিক কী ধরনের সহায়তা চায়, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি সূত্রগুলো। এদিকে, বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছেন, যে অভিযোগে ইরানে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে, তা ‘ভিত্তিহীন’। বৈঠক শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, সপ্তাহজুড়ে ইরানের উপর ‘মার্কিন’ হামলার নিন্দা জানায় রাশিয়া। এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা অবশ্যই, এর নিন্দা জানাই ও এ বিষয়ে আমাদের গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। রাশিয়া কী করতে প্রস্তুত জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, মস্কো মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ভূমিকা রাখছে। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে ‘ইরানের কী প্রয়োজন তার ওপর’। সূত্র: আল জাজিরা, এএফপি