
ভারতের জলসীমায় অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরার অভিযোগে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের আটক করা হয় এবং আজ বৃহস্পতিবার তাদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করা হবে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর এফবি ‘রূপসী সুলতানা’ ও এফবি ‘সাবিনা’ নামের দুটি ট্রলার ভারতের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরছিল। টহল দেওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের। পরে ট্রলার দুটি আটক করে এবং মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায়, তারা বাংলাদেশের কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
এরপর ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে কোস্ট গার্ড ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বুধবার বিকেলে তাদের ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দরে আনা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করবে।
এ ঘটনা আগের সপ্তাহে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সাথে মিল রয়েছে। সোমবার বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের ট্রলারে হামলা চালায় বাংলাদেশ নৌসেনা। হামলার কারণে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১১ জন মৎস্যজীবীকে নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে আনা হয়। তবে ট্রলারে থাকা পাঁচ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে নামখানার নারায়ণপুর ঘাটের কাছে ট্রলারটি টেনে আনার পর দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন সঞ্জীব দাস (৫৬) এবং রঞ্জন দাস (৫০)।
পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জীব দাসের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরে এবং রঞ্জন দাস ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। এখনও তিনজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুইটি বাংলাদেশি ট্রলারের বিরুদ্ধে ভারতের জলসীমায় অননুমোদিত প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।