ইতালিতে ক্যাথলিক ধর্মগুরুদের হাতে ৪৪০০ জনের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ


ইতালিতে ক্যাথলিক ধর্মগুরুদের হাতে ৪৪০০ জনের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

ইতালিতে গত পাঁচ বছরে প্রায় চার হাজার চারশ’ মানুষ ক্যাথলিক ধর্মগুরুদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত ইতালির সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সংগঠন ‘রেতে ল’আবুসো’-এর অনানুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে আসে।

রয়টার্স জানায়, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সেস্কো জানার্দি বলেন, “ভুক্তভোগীদের বিবরণ, বিচারিক তথ্য ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করেই এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।”

বিগত কয়েক দশক ধরে শিশু ও কিশোরদের ওপর ক্যাথলিক ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতন এবং চার্চ কর্তৃপক্ষের সেই অপরাধ গোপন করার প্রবণতা বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছে ক্যাথলিক চার্চকে। কিন্তু ইতালির স্থানীয় চার্চ নেতৃত্ব এখনো পর্যন্ত সমস্যাটির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি নতুন পোপ লিও প্রথমবারের মতো যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি চার্চের নতুন বিশপদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন, যেন অসদাচরণের অভিযোগ কখনও গোপন না করা হয়।

তার পূর্বসূরী প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস টানা ১২ বছর এই ইস্যুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিলেও, বাস্তবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি।

রেতে ল’আবুসোর তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনটি মোট ১,২৫০টি সন্দেহভাজন নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যার কিছু ঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগী জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে ১,১০৬টি ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে পুরোহিতদের নাম উঠে এসেছে। বাকি অভিযোগগুলো নান, ধর্মীয় শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষাবিদ এবং স্কাউট সদস্যদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত মোট ৪,৬২৫ জন ভুক্তভোগীর বা জীবিত বেঁচে থাকা ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪,৩৯৫ জন পুরোহিতদের হাতে নির্যাতিত বলে অভিযোগ করেছেন।

এই ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৪,৪৫১ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের নিচে, আর প্রায় সমান সংখ্যক ৪,১০৮ জন ছিলেন পুরুষ। এছাড়া নিহতদের তালিকায় রয়েছেন পাঁচজন সন্ন্যাসিনী, ১৫৬ জন মানসিক বা শারীরিকভাবে দুর্বল প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×