‘ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না’
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩৯ এম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর দখল করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, গাজা নিয়ে শিগগিরই সমঝোতা হতে পারে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের একদিন আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না... এটা কোনোভাবেই ঘটবে না।”
ট্রাম্প আগামী সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তিনি আরও জানান, গাজা নিয়ে সমঝোতা “প্রায় কাছাকাছি” এসে গেছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও পশ্চিম তীরের দখলদারিত্ব বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যে একাধিক পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা পশ্চিম তীর দখলকেই স্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখছে।
ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার নিউইয়র্কে বলেন, পশ্চিম তীর দখল হবে “নৈতিক, আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।”
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প জানান, তিনি নেতানিয়াহুসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তার ভাষায়, “আমরা গাজা নিয়ে সমঝোতার বেশ কাছাকাছি চলে এসেছি, হয়তো শান্তিও হতে পারে।”
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফরাসি শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে নিউইয়র্ক সফরের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভাষণ দেন।
আব্বাস তাঁর বক্তব্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান। গত রোববার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। এর পরপরই ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, সান মারিনো, অ্যান্ডোরা ও ডেনমার্ক একই ঘোষণা দেয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। ওয়াশিংটনের মতে, এটি হামাসের জন্য পুরস্কারস্বরূপ হবে। তবে আব্বাস স্পষ্ট করে বলেন, “শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।”
আব্বাস আরও দাবি করেন, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর গাজার পূর্ণ দায়িত্ব নেবে ফিলিস্তিন এবং এটি পশ্চিম তীরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে ট্রাম্প আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা সবাই ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, পশ্চিম তীর দখলের পরিণতি গুরুতর হবে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান সাংবাদিকদের বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট পশ্চিম তীর দখলের ঝুঁকি ও বিপদ খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন।”